বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানি খাতুন হত্যা মামলার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া আবারও পিছিয়ে গেল। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময়ে যে বিএসএফ সদস্য ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন, সেই কনস্টেবল অমিয় ঘোষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে মামলাটির রায় পুনর্বিবেচনার যে প্রক্রিয়া চলছিল, তা আবারও শুরু হবে আগামী বছরের ২৫ মার্চ থেকে।বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ফেলানি হত্যা মামলার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া চলার সময়ে আদালতেই জ্ঞান হারান মি. ঘোষ। তার রক্তচাপ খুবই বেড়ে গিয়েছিল আর মানসিক অবসাদেও ভুগছেন। সূত্র আরো জানায়, চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। কয়েক মাস আগে অমিয় ঘোষের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। আর তার নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের নিজস্ব আদালত– জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট বা জিএসএফসি রায় পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।তবে প্রায় চার মাস কেন এই প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হল- এই প্রশ্নের জবাবে এক বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, আদালতের সদস্য বিচারকরা সবাই বিএসএফের সিনিয়র অফিসার। তারা এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বদলি হয়ে গেছেন। সেখানে তাদের বর্তমান দায়িত্বও সামলাতে হয়। সবাইকে একই সময়ে আদালতের কাজের জন্য এক জায়গায় জড়ো করাটা বেশ কঠিন। সেজন্যই এই কয়েক মাস সময় দরকার।উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসে বাবার সঙ্গে সীমান্ত পেরনোর সময়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চৌধুরী হাটে গুলিবিদ্ধ হন ফেলানি। তার বিয়ের জন্যই দেশে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ভোরের কুয়াশায় কোনও একজনকে সীমান্ত পার হতে দেখে গুলি চালান বিএসএফ প্রহরী অমিয় ঘোষ। মৃত্যুর পরে দীর্ঘক্ষণ ফেলানির মৃতদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে ছিল।