নাজমুল হক শামীম, ফেনী প্রতিনিধি :
দেশের জনপ্রিয় ফু-ওয়াং কোম্পানীর বাজারজাকৃত কয়েকরকমের ব্রেড দিয়ে জনগনের সাথে প্রতারণা করছে কোম্পনীটি। তাদের তৈরীকৃত ‘প্ল্যাটিনাম স্যান্ডউইচ হোয়াইট ব্রেড’ এর একটি চালান গত ৩১ অক্টোবর শুক্রবার ভোরে ফেনীর সার্কিড হাউজ রোডের চৌধুরী এন্টার প্রাইজ ডিপোতে আসে। প্রতিটি ব্রেড’র (মালের) গায়ে সিল সমৃদ্ধ উৎপাদন তারিখ (গভম.উঃ) : ০২ ১১ ১৪ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ (ঊীঢ়.উঃ) : ০৫ ১১ ১৪ লিখা রয়েছে।
ফেনীর চৌধুরী এন্টার প্রাইজ ডিপোর সত্তাধিকারী বদরুল আলম চৌধুরী জানান, গত ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার হরতাল থাকায় গত ৩১ অক্টোবর ভোরে কোম্পানীর কারখানা থেকে নিজস্ব পরিবহনে করে ‘প্ল্যাটিনাম স্যান্ডউইচ হোয়াইট ব্রেড’সহ অন্যান্ন পন্য ফেনী আসে। ওই দিন দুপুরে মালটি স্থানীয় ডিষ্টিবিউটরের মাধ্যমে খোলা বাজারে (মুদি/কনফেকশনারী দোকান) যায়। ওই দিন রাতে ও পরদিন ১ নভেম্বর থেকে মালটি সাধারণ ক্রেতারা ক্রয় করে। প্রতিটি ‘প্ল্যাটিনাম স্যান্ডউইচ হোয়াইট ব্রেড’র গায়ে (গভম.উঃ) : ০২ ১১ ১৪ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ (ঊীঢ়.উঃ) : ০৫ ১১ ১৪ লিখা রয়েছে।
শহরের সামছুল আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, ১ অক্টোবর শনিবার বিকেলে একটি দোকান থেকে তিনি একটি ব্রেড কিনে দেখেন তার গায়ে উৎপাদন মেয়াদ দেয়া আছে ২ অক্টোবর। ফু-ওয়াং কোম্পানীর মতো দেশের জনপ্রিয় একটি কোম্পানী নিত্যপন্য নিয়ে জনগনের সাথে প্রতারণা করছে। ক্রেতারা না যেনে বাসি ব্রেড খাচ্ছে। এতে করে জনগনের স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে ফুড কোড আইনে তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ফু-ওয়াং কোম্পানীর প্লান্ট ম্যানেজার মাসুদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, মালগুলো গত ৩১ অক্টোবর সকালে ফেনী ডিপোতে আসলেও এটি তৈরী করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে আরো এক থেকে দেড়দিন আগে। সাধারণত প্রতিটি ব্রেড তৈরী করার পর বাজারজাত করা পর্যন্ত দেড় থেকে দুই দিন সময় লাগে সে হিসেবে তিনদিন হাতে রেখে উৎপাদনের তারিখ মালের গায়ে বসানো হয়। আর উৎপাদনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৪ দিন মালের মেয়াদ দেয় হয়। সাত দিনের একটি মালকে ৪ দিনের কিভাবে মেয়াদ দেয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি কোম্পানীর নিয়ম। শুরু থেকে এভাবেই মালগুলো বাজারজাত করা হচ্ছে।
গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে কিনা এর জবাবে, প্রতারণার বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে তিনি বলেন আগামীতে মালগুলোর গায়ে উৎপাদনের সময় থেকে ৭ দিন করে মেয়াদ দিয়ে বাজারজাত করা হবে।
ফু-ওয়াং কোম্পানীর উপদেষ্টা কর্নেল ফোরকার মুঠোফোনে জানান, মালের উৎপাদন তারিখ বিষয়ে তিনি অবগত নন। অভিযোগটি নোট আকারে নেয়া হলো, অভিযোগের সত্যতা পেলে তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।