ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দু’পক্ষই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে। ফলে গাজায় ইসরায়েলি অবরোধও তুলে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’পক্ষের এ সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের মনে স্বস্তি ও আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে। গতকাল হাজার হাজার ফিলিস্তিনি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করে গাজাবাসী।
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পশ্চিম তীর থেকে জানান, দু’পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি ফর্মুলা পাওয়া গেছে। দু’পক্ষই এতে একমত হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। মাহমুদ আব্বাস এ যুদ্ধবিরতিকে একটি নতুন জাতির উত্থান এবং দখলদারিত্বের অবসান বলে অভিহিত করেন। খবর এপি, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও আলজাজিরা।
কায়রোয় মিসরের মধ্যস্থতায় গ্রহণযোগ্য সমাধানে পেঁৗছাতে সহায়তা করায় মা?হমুদ আব্বাস মিসর ছাড়াও কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েল সরকার ফর্মুলাটি গ্রহণ করেছে এবং যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোও এ খবর প্রচার করেছে।
হাজার হাজার উচ্ছ্বসিত ফিলিস্তিনি রাস্তায় : যুদ্ধবিরতির খবরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে আসে। তারা আঙুল উঁচিয়ে বিজয় চিহ্ন দেখায়। আল জাজিরা টেলিভিশন জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। লোক চলাচলের ব্যাপারেও কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজায় একটি বিমানবন্দর ও একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে আলোচনা শুরু হতে পারে মাসখানেকের মধ্যে। এর আগে অবশ্য যুদ্ধবিরতির কাজটা আরও পাকাপোক্ত করা হবে।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া : ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দু’পক্ষের এই সম্মতি ভবিষ্যতে আরও টেকসই ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের যৌথ সম্মতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘আশা করছি, তারা শিগগিরই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে এবং পারস্পরিক সহায়তা ও সহানুভূতির মাধ্যমে ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি স্থাপন করবে।’
এ ছাড়া দু’দেশের যুদ্ধবিরতির সম্মতিতে অভিনন্দন জানায় ইরান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।