ঢাকার আসন্ন দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। দক্ষিণে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন এবং উত্তরে দলের যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দিন আহম্মেদ বাবুলকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার বনানী কার্যালয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের যৌথ সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে এরশাদ বলেন, ‘এখনকার প্রধানমন্ত্রী আমার চেয়েও বড় স্বৈরাচার। আমি গুলি করে মানুষ মারি নাই, মানুষ হত্যা করি নাই। এখন প্রতিদিন নূর হোসেন, বিশ্বজিৎ মরছে। কিন্তু আমাদের চোখে পানি আসে না। গণতন্ত্র এখন কবরে, নির্বাসনে। আজ থেকে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নিলাম। আজ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যাত্রা শুরু হল।’ তিনি বলেন, মানুষ মেরে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না, আবার ক্ষমতায় থাকাও যায় না। এই দুই দলের প্রতি মানুষের আস্থার লেশমাত্র নেই। সুযোগ এসেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন হরতাল, অবরোধ। আজ হরতালে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাব কিনা চিন্তায় আছি। ঢাকায় যানজটে আপনারা খুশি। কিন্তু বাইরের অবস্থা কী? ঢাকা এখন বিচ্ছিন্ন। এরশাদ বলেন, ঢাকার বাইরের কৃষক না খেয়ে আছে। রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ঢাকায় কোথায় যানজট? আমরা পুরো দেশকে রাজনীতির যানজটমুক্ত করতে চাই। এবার সেই সুযোগ এসেছে। তিনি বলেন, এবার আল্লাহ আমাদের একটা সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। এখন বার্ন ইউনিটে যাওয়ার নামে নাটক হচ্ছে দাবি করে এরশাদ বলেন, আমি নাটক করার জন্য বার্ন ইউনিটে যাই না। আমি রংপুরে বার্ন ইউনিটে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, সঙ্গে কোনো ক্যামেরা থাকবে না। এই রাজনীতি আমরা চাই না। এই গণতন্ত্র আমরা চাই না। সত্যিকারের গণতন্ত্র চাই।এরশাদ বলেন, ক্ষমতা ছাড়া আমাদের দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের কবর রচনা হয়েছে। আমরা আর বিরোধী দলে থাকতে চাই না। এবার আমরা ক্ষমতায় যাব। আমরা এখন তালগাছ চাই। গণতন্ত্র চাই না। জনগণের ভোটে এবার তালগাছ আমরা নেব।দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সুনীল শুভরায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম নুরু, কেন্দ্রীয় নেতা জহিরুল আলম রুবেল, সুলতান মাহমুদ, বেলাল হোসেন, মনিরুল ইসলাম মিলন, হাসান আহম্মেদ জুয়েল, সোলায়মান সামি, ছাত্র সমাজের সভাপতি ইফতেখার আহসান হাসান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।