রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

পারভীন লিয়া’র দুটি কবিতা : # আবেগী অনুভবে তুমি # বিচ্ছেদের বহুদিন পরে


# আবেগী অনুভবে তুমি

অস্তিত্বের সংকটে কিছু মানুষের দীর্ঘ নিঃশ্বাস–
জমে হয় পাহাড় সমান ঋণী,,
পথে প্রান্তরে হেটে যায় দুষ্টু স্বার্থপর মানব–
কান্না জড়িত-স্লোগান দেয় লক্ষহীন দূরে।

সম্পর্কের নিরর্থক রক্তের বাড়াবাড়ি–
স্নেহ ভালবাসার মোহমায়ার জালে
পরে থাকে অন্ধকারে স্মৃতির কোলাহল,
শব্দহীন শব্দে অকারণ মানুষ করে—–
গোপনে ক্রমাগত বিপন্ন বিলাপ।

এ হৃদয়ের পূর্ণতা পাওয়া হয়ে গেছে ব্যাদনায়,,
বাকিটা–দূর্বিসহ যন্ত্রণা ভুলে যাও– বলে যাই।
ভালো থেকো নিঃশ মানুষ বেহেলার সুরে–
সাজিয়ে নাও জীবনের কিছু দিন, কিছুটা সময়।

বিবেকের দ্বহনে পুড়ে ছাই তোমার আমার আত্মা
নিঃস্ব নিথর অন্তর জ্বলে,কিছু কি বুঝা গেলো?
স্পর্শের আড়ালে রয়ে যায় কিছু অল্প, সল্প, গল্প,
দু’নয়নের লোনাজল ঝড়ে পরুক মানবিক নির্লিপ্ততায়।।

বহুকাল ধরে কিছু আপনাকে চেনা গেলো না–
যাকে চিনেছে হৃদয় তাকে ধরা গেলো না,,
অভিমানে মন দূরে চলে যায় তবুও স্পর্শহীন ছোঁয়ায়-
আবেগী অনুভবে এ যেনো বেঁচে থাকার পরিপূর্ণতা।।

 


…………………………………….
# বিচ্ছেদের বহুদিন পরে
………………………

এমন পৃথিবী দেখিনি তো কখনো এর আগে
ক্রমাগত বিচ্ছেদের দিনগুলি ব্যাথায়—-
করে নড়বড়ে, আমাদের আত্মাময় আর্তনাদ
গুলো অস্থির মস্তিষ্কের বরফ গলা ঘরে–
অবেলায় অবহেলায় নিদারুণ খেলা করে !!

শব্দহীন শব্দকথা শুনতে পাই- যেখানেই যাই
ভিতরে বাইরে রক্তের ঝর্ণা ধারা উপচে পরে
তারই মাঝে প্রবাহিত পথ ধরে হেটে যাই–
অনর্থক স্বপ্ন সাজাই, সেখানেও কিছু নাই।

শূণ্য স্মৃতির খাঁচায় আটকে পরা জল নদী
শুকনো হৃদয়ে সুর বাজে তবুও নিরবধী,,
জনহীন এই শহর ক্লান্ত পথে কার হাত ধরে
নিরবে হাটতে শিখায়? মৌনতার ভিতর প্রাচুর্য্যের
জীবন ক্ষণিকেই দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে।

কোথায় যাবো বলো “মাগো”কোথায় সেই প্রিয় তুমি—
তোমার আঁচলখানি বড় প্রয়োজন জানি শুধু আমি।
এখানে সেখানে ঘুরি একা জন্মেছি তাই জন্ম ঋণে,
কোলাহল নেই আগের মতো ‘মাগো’ নেই পিছু টান,
জমে থাকা অন্তর নীড়ে পিছনের সুন্দর কিছু দিন
ঝলমলে সূর্য্যের মতো পিপাসিত সুখ নিয়ে যায় এ প্রাণ।