মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

পাকিস্তানকে জেতালেন মিসবাহ

image_186661.pak_win_bg_745229450

 

পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের ৯১ রানের অসাধারণ এক ইনিংসে ভর করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দিবা রাতের ম্যাচে ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৫১ রানের টার্গেট চার উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখেই অতিক্রম করে পাকিস্তান।২৫১ রানের টার্গেট খুব বড় ছিল না পাকিস্তানের জন্য। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৮ রানে চার উইকেট খুঁইয়ে সেই লক্ষ্যটাকে কঠিন করে তোলে পাকিস্তান। ততক্ষনে ম্যাচের ২২ ওভার পেরিয়ে গেছে। পাক ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে ব্রড-অ্যান্ডারসন-ক্রিস জর্ডানরা। তবে ম্যাচের চিত্রনাট্য বদলে দেয় পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেট জুটি। মিসবাহ-আকমলের ছন্দময় ব্যাটিং তান্ডবে জয়ের কক্ষপথে হাঁটা শুরু করে পাকিস্তান। এ জুটি থেকে আসে ১৩৩ রান। দলীয় ২১১ রানে ৬৫ রান করে উমর আকমল বিদায় নিলেও রান থামেনি মিসবাহর ব্যাটে। মিসবাহর সাথে শেষ দিকে ব্যাটিং ঝড় তোলেন শোয়েব মাকসুদ। ১২ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২০ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। অ্যান্ডারসনের বলে মাকসুদ বিদায় নিলেও জয়কে সহজ করে দেন শহিদ আফ্রিদি। আফ্রিদির ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারিতে ম্যাচের ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আফ্রিদি। পাক অধিনায়ক মিসবাহ ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯৯ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন মিসবাহ। স্টুয়ার্ড ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন, ক্রিস জর্ডান ও ট্রেডওয়েল একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে পাকিস্তানের বোলিংয়ের সামনে ঝড় তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। তাই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটে ২৫০ রানেই শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ইনিংসে ছিলো দুটি ফিফটি। ৮৫ রান করেছেন জো রুট। আর ব্যালান্সের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ রান। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ নিয়েছেন ৩ উইকেট। পেসার সোহেল খান পেয়েছেন ২ উইকেট। এহসান আদিল ও ওয়াহাব রিয়াজ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
সিডনির উইকেটে রান আসে ভালো। কিন্তু শুরুতেই মঈন আলীকে হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। এরপর ৬৪ রানের জুটি হয়েছে হ্যালস (৩১) ও ব্যালান্সের মধ্যে। সেখান থেকে আবার জো রুট আর ব্যালান্সের মধ্যে হয়েছে আরেকটি ৬৬ রানের জুটি। ব্যালান্সকে তুলে নেন ইয়াসির শাহ। এই লেগ স্পিনার একই ওভারে শুন্য হাতে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ অধিনায়ক ইউইন মরগ্যানকেও। কয়েক ওভার পর ইয়াসির শিকার করেন রবি বোপারাকেও (১১)। এই তিন উইকেট পতনে ১৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দল হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই চলে যায় পাকিস্তানীদের হাতে। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকা দ্রুত ঘোরাতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলকে অবশ্য ভালো সার্ভিস দিয়েছেন রুট। হাফ সেঞ্চুরিটাকে সেঞ্চুরির কিছুটা কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ৮৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় পরিশ্রমী ৮৫ রানের ইনিংস রুট শেষ করেন ৪৯তম ওভারে। সোহেল খানের শিকার হয়েছেন তিনি। শেষের দিকে আরো বেশি সতর্ক হতে হয়েছে ইংলিশদের। অলআউট না হয়েই ইনিংস শেষ করে তারা।