নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আসেন। দুপুর ১২টায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহরকেন্দ্রিক নদীগুলো দখলমুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার আশপাশের নদীগুলো দূষণ ও দখলমুক্ত করতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। এ সময় নৌ দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তিনি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌযানের নেভিগেশন ও ডিজাইন সঠিকভাবে করতে হবে। শুধু পয়সা কামানোর কথা ভাবলেই হবে না। তিনি বলেন, ছোটখাট একটু বাতাসেই নৌযান ডুবে যাবে, এটা তো আর মেনে নেওয়া যাবে না। নৌযানে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌযানে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম পর্যাপ্ত থাকতে হবে এবং এর ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নৌযান চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, একটি নৌযান যখন ডুবে যাচ্ছে, তখন যাত্রীরা বেঁচে থাকার জন্য আর কিছু খুঁজে পান না। এটা তো হতে পারে না।
এরপর যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নৌপথের গুরুত্ব অনেক। এপথে কম খরচে ও সহজে পণ্য পরিবহন করা যায়। তিনি নদীর পাড় রক্ষা, নদী দখল বন্ধ, নদী দূষণরোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী নদী দূষণরোধে বলেন, দেশের প্রতিটি শহরের পাশের নদীগুলো রক্ষা করতে হবে, দূষণ ঠেকাতে হবে। প্রয়োজনে নদী দূষণরোধে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে।
পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই নৌ মন্ত্রণালয়ের অটোমেশন ও ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে এখন থেকে নৌ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে নিয়মিত পারস্পরিক যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। উদ্বোধনীর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মংলা ও মেরিন একাডেমির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার সময় বন্দরগুলো আরো উন্নত করারও নির্দেশ দেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।