আকাশ ইকবাল:
গত ২৯ শে জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশ চট্টগ্রাম ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ নিজামপুর কলেজ জাতীয় করন প্রসঙ্গে মীরসরাই থেকে বার বার নির্বাচিত সাংসদ এবং গৃহায়ন ও গনপুর্ত মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনকেÑ স্মারকলিপিঃ
মহোদয়,
শীতের কুহেলি ভেদ করে এই জনপদের মাঝে কলেজ পাঙ্গনে আপনার উপস্থিতি নিয়ে এসেছে আলোর বন্যা, সবার মুখ আনন্দে মখর আজ। দেশের প্রতি আপনার অগাত ভালোবাসা এবং যে মহৎ আদর্শ নিয়ে ১৯৭১ সালে লক্ষ প্রানের বিনিময়ে এ দেশের সূর্য সন্তানেরা দেশ স্বাধীন করেছিলো সে আদর্শে সমাজ গড়ার অবিরাম চেষ্টার কথা আজ প্রতিটি মানুষের জ্ঞাত। দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন স¦াধনের প্রতি আপনার সদা সতর্ক দৃষ্টি প্রতিনিয়ত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আপনার সুযোগ্য পরিচালনায় সমগ্র চট্টগ্রামে উন্নয়নের চাপ লক্ষনীয়। আপনি চট্টগ্রামের অভিভাবক, চট্টলার বীর সন্তান।
আপনি জানেন চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার মীরসর্ইা উপজেলার আপনার বাবা মরহুম জনাব সাইদর রহমান ১৯৬৪ সালে এককালিন ১০০০০ টাকা অনুধান দিয়ে এই এলাকার সর্বস্তরের জনগনের সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা– চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দৃষ্টি নন্দন পরিবেশে নিজামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজ আজ আপন মহিমার ভাস্বর। প্রতিষ্ঠা কাল থেকে এই কলেজের ফলাফল বেশ ইষণীয়। বর্তমানে এই কলেজে ৩০০০ হাজার শিক্ষাথী অধ্যায়নরত আছে। চট্টগ্রাম সিটি গেইট থেকে ফেনী জেলা পর্যন্ত এই কলেজই একমাত্র পূর্নাঙ্গ ডিগ্রি কলেজ। তাছাড়া ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ থেকে কারিগরি শিক্ষা র্বোডের অধীনে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বি. এম) শিক্ষাক্রম এবং ২০১১-১২ সেশন থেকে বিবিএ অনার্স (ব্যবস্থাপনা ও হিসাববিজ্ঞান) কোর্স চালু রয়েছে।
১৯৯৪ সালে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক পথে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় পদাপূর্ন করে জামাত শিবির কতৃক সৃষ্ট ধ্বংস যজ্ঞ নিজ চোখে ব্যধিত হয়ে উপস্থিত ছাত্র জনতাকে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এই কলেজ জাতীয়করণের আশ্বাস প্রধান করেন যা এলাকাবাসি গর্বের সাথে এখনো সরণ করেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকার তৎকালীন মেয়র জনাব মোহাম্মদ হামিদ নিজামপুর কলেজ প্রাঙ্গনে আপনার নির্বাচনি জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এই কলেজ জাতীয় করনের ঘোষণা দেন।
১৯৯২ সালে এ কলেজ জাতীয়করণের দ্বারপ্রান্তে পৌচানোর পরেও শধু মাত্র ‘ছাত্রলীগ ও আপনার বাবার প্রতিষ্ঠিত কলেজ’ এ অপবাদ দিয়ে স্থানীয় বি.এন.পি নেতা ও তৎকালিন সাংসদের চরম বিরোধীতা এবং রাজনৈতিক পতিহিংসার শিকার হয়ে জাতীয়করণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যায়।
যদি কলেজ টি জাতীয়করণ করা হয় তাহলে শিক্ষাথীদের পড়া লেখার ব্যয় বার অনেকটা কমে যাবে। সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা ২০-২৫ টাকার বেতন এবং ভর্তির সময় ১৫০০-২০০০ টাকা দিয়ে ভর্তি হতে পারবে।
আপনি মীরসরাই থেকে বার বার নির্বাচিত সাংসদ মন্ত্রী, মীরসরাই বাসীর নয়নমনী, আমাদের একান্ত সুহৃদ, আশা আকাংখার প্রতিক, একমাত্র আশ্রয়স্থল।
আমাদের সকলের প্রানের দাবি নিজামপুর কলেজ জাতীয়করণ করা হোক। আশা করছি আপনার পরম অনুগ্রহ থেকে আমরা কেউ বাদ পরবো না।
এই সময় মাননীয় মন্ত্রী সমাবেশের প্রধান অতিথি জনাব ই্িঞ্জনিয়ার মোশারফ হোসেন এম.পি তা গ্রহন করে নেন। এবং আশ্বাস দেন যত তারাতারি সম্ভব তা জাতীয় করন করা হবে। এই সময় সমাবেশ আশা বিশেষ অতিথি মো: নুরুল আলম চৌধুরী সাবেক এম.পি ও রাষ্টদূত এবং সভাপতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ একই কথা বলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন এম এ সালাম সাধারন সম্পাধক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ.লীগ ও – জেলা প্রশাসক । প্রধান বক্তা ছিলেন, এইচ. এম. বদিউজ্জামান সোহাগ সভাপতি- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। বিশেষ বক্তা : সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
এই সময় সমাবেশে স্মারকলিপি পড়ে শুনান নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নয়ন ।