নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্যে সরকার নারী নীতিমালা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাল্যবিবাহে রোধে আইনও সংশোধন করা হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাল্য বিয়েই কন্যা শিশুর স্বাভাবিক জীবনের প্রধান অন্তরায় শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজে এখনও বাল্যবিয়ে প্রচলন রয়েছে। এক শ্রেণীর অভিভাবকেরা কন্যার বয়স ১৫/১৬ হলেই মনে করেন, তার বয়স বেশি হয়ে গেছে। বিয়ে দিতে হবে। নইলে পরবর্তীতে ভালো জামাই পাওয়া যাবে না। এই চিন্তা থেকে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার কন্যা শিশুদের পড়াশুনার সব ব্যবস্থা করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, আগের বাল্যবিবাহ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এখানে বাল্যবিবাহের কারণে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছর বয়সের নিচের কোনো কন্যাশিশুর বিয়ে হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আর ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে মিডিয়াতে আরো বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে একদিন বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে।আলোচনায় অংশ নেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞান ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মালেকা বেগম, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেকটর বদিউল আলম মজুমদার, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণ চৌধুরী, নাছিমা আক্তার জলি প্রমুখ।