দ্রুত বিচার আইন ২০১৪ এর কার্যকারিতা বাড়লো আরও পাঁচ বছর। ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইনের কার্যকারিতা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৪-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে জনস্বার্থে এ আইনের মেয়াদ বাড়ানো দরকার। এজন্য তারা এর মেয়াদ ৪ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করে। কিন্তু মন্ত্রিসভা মনে করে মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়নো দরকার। তাই ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইনটি কার্যকর থাকবে।এদিকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একজন মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- কাজের দোহাই দিয়ে কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী যাতে সংসদে অনুপস্থিত না থাকেন। জরুরি কাজ থাকলে সংসদে বসেও তা করা যায়। অনেক সময় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা থাকেন না। মন্ত্রীরাও থাকেন না। মন্ত্রীরা সংসদে না গেলে সংসদ সদস্যরা তাদের দেখে উৎসাহিত হন। তাই মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।অনির্ধারিত আলোচনায় পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনার সূত্র ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাই পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
উৎস-যুগান্তর