আজ রবিবার মানহানির অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় পত্রিকাটির মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল, সম্পাদক সালমা ইসলাম, তাদের ছেলে শামীম ইসলাম ও নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলমকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় মোট চারজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর নুরুল ইসলাম বাবুল, সালমা ইসলাম ও তাঁদের ছেলে মো. শামীম ইসলামের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার চার নম্বর কলামে ‘বসুন্ধরা হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি : মন্ত্রী, সচিবের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ : দ্রুত তদন্তের দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা’- এই শিরোনামে একটি চরম মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়।
একইভাবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর ‘ড্যাপ, উপকমিটির জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় ও বিস্ময়’ শিরোনামে একই পত্রিকায় একই বিষয়ে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আরো একটি সংবাদ ছাপা হয়।
বাদীর পক্ষ থেকে আসামিদের পত্রিকায় বসুন্ধরার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি ভুল ছিল মর্মে একটি প্রতিবাদ ছাপানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু আসামিরা প্রতিবাদপত্রটি দায়সারাভাবে প্রকাশ করেছে।
আজ রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে নালিশি এ মামলাটি দায়ের করেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলায়েত হোসেন।
বাদী আদালতে বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলো বসুন্ধরা হাউজিং হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৭ সাল থেকে বেসরকারি আবাসন খাতে সততা, আন্তরিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে ব্যবসা করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আবাসন, কাগজ, সিমেন্ট, লৌহ, খাদ্য, প্রিন্টিং শিপিংসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী ও প্রায় দুই লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
আসামিরা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য তাঁদের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার মাধ্যমে কুতসামূলক মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছেন। এ সংবাদ প্রকাশের ফলে দেশের জনগণ ও সুশীল সমাজের কাছে বাদী ও প্রতিষ্ঠানের মানহানিসহ অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. তসরুজ্জামান বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নেন। একইসঙ্গে ভাটারা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
উৎস- কালেরকন্ঠ