শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দেশ-জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কাজ করুন

image_165078.hasina-9
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে পবিত্র আমানত মনে করে দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করতে বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০১৪ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০১৪ উদ্যাপন উপলক্ষে এই বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২১৯ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য এই বাহিনীর দু’জন সদস্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ১১৯ জন সদস্য পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য খেতাব।
এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য উৎসর্গ করেছেন তাদের জীবনÑ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশবাসীর সাথে আমি তাঁদের এ আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা দেশের সীমান্তরক্ষা এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তাসহ দেশগঠনমূলক কাজে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’কে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ প্রণয়ন করেছে। বিজিবি’র নতুন সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবল অনুমোদন এবং পদবি কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বাহিনীর কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য চারটি রিজিয়নের আওতায় কমান্ড স্তর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন চারটি সেক্টর ও ১৫টি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। বাহিনীর নিজস্ব র‌্যাঙ্ক-ব্যাজ প্রবর্তন করে বিজিবি’র স্বকীয়তা, সৌকর্য ও আস্থাকে সমুন্নত করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি’র অপারেশনাল কার্যক্রম আরও জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বাহিনীর সর্বনিম্ন পদ থেকে সুবেদার মেজর পর্যন্ত সদস্যদের ৩০ শতাংশ সীমান্ত ভাতা, রেশন বৃদ্ধি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি এবং আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পদোন্নতিযোগ্য সদস্যদের পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বাহিনীর সদস্যগণ সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখবেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে পবিত্র আমানত মনে করবেন এবং দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করবেন।’
তিনি ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০১৪’-এর সার্বিক সফলতা এবং এই বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।