জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে থাকাকালে আমি পাকিস্তান থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছি এবং কোন এক কল্পিত আদালতের বিচারক ছিলাম’ এই তথ্যের যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে- তাহলে আমি রাজনীতি থেকে চির বিদায় নেব, এমনকি দেশ ছেড়েই চলে যাবো। আর যারা এ ধরণের মিথ্যাচার করছেন, তারা প্রমাণ দিতে না পারলে জাতির সামনে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। চীন সফর শেষে বৃহষ্পতিবার বিকালে দেশে ফিরে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে এরশাদ জানিয়েছেন দেশে থাকলে তিনি জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করতেন। এতে এরশাদ বলেন, আমি অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, কিছু কিছু মহল আমার বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভূমিকা নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই মহলটি কুখ্যাত গোয়েবলসের ফর্মুলা অনুসরণ করে বলতে চায় যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে থাকাকালে আমি নাকি পাকিস্তান থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছি এবং কোন এক কল্পিত আদালতের বিচারক ছিলাম। আমি এই ধরণের জঘন্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা আমার বুকের লালিত স্বপ্ন। দুর্ভাগ্য, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধে আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কারণ, যুদ্ধ শুরুর মাত্র এক মাস আগে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে আমাকে পোষ্টিং দেয়া হয়েছিল। যদি দেশে থাকতাম তাহলে জীবনবাজী রেখেই স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতাম।