চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাইছার হামিদ সুরেলা কণ্ঠের যাদুকর। লোকসঙ্গীত, আধুনিক আর দেশাত্ববোধ যেকোন গানই যেন গীতকার তার কণ্ঠের সাথে মিলে রেখে রচনা করেন। তার গানে মুগ্ধ হন শ্রোতা-দর্শক। পঁচিশ বছর বয়সি তরুণ এ সঙ্গীত শিল্পী বাংলা গানের পাশাপাশি নিজের দখলে রেখেছেন হিন্দি, তামিল, সিংহলা, নেপালি ও মালি-আলম ভাষার বেশ কিছু গান। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কান একটি চলচ্চিত্রে গান করারও সুযোগ হয় তার। দুবাইয়ের সঙ্গীতাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র অন্য সব দেশি শিল্পীদের সাথে পাল্লা দিয়ে আমিরাতে তুলনামূলক ভাবে নিজের অবস্থানও করে নিয়েছেন বেশ ফাঁকা পোক্ত। কাজের শেষে, অবসরে চলে তার সঙ্গীত চর্চা। পাশাপাশি আমিরাতের বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিতই করছেন স্ট্রেস শো।
দুবাইয়ের সঙ্গীতাঙ্গনের ব্যস্ত এই তরুণ শিল্পীর গান নিয়ে ব্যস্ততা কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বাজারে এসেছে আমার একটি মিক্স এ্যালবাম ‘ বিবাগী এ মন ‘ । সেখানে ‘ বিবাগী মন’ ও ‘পাখি’ শিরোনামে আমার দুটি গান রয়েছে। ইতিমধ্যে গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কান একটি চলচ্চিত্রের জন্যও গান করেছি। বর্তমানে দুবাইয়ে সঙ্গীতাঙ্গনের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রেখে বাংলা গানের চর্চা করছি। যেহেতু মাঝে মধ্যে ভিনদেশিদের কিছু কিছু প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ পাই তাই বাংলা গানের পাশাপাশি ওসব শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখে হিন্দি, তামিল, সিংহলা, নেপালি ও মালি-আলম ভাষায় গান চর্চা করছি।’
গানের সাথে মিশে থাকার কথা ব্যক্ত করে কাইছার বলেন, ‘ সারাদিন কাজ করি, সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরে তখনই গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই। হাজার কষ্টের মাঝেও প্রবাসে আমি সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে অনেকের সহযোগিতা পাচ্ছি, তাদের সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে আছে বাস্তবমুখী ও গণমানুষের জন্য গান করার। মানুষ ও দেশের কল্যাণে নিজেকে সপে দিয়ে জীবনের বাকি সময়ও গান নিয়েই বাঁচতে চাই। ‘