বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে: ২০ দল

20 dol..._56809

 

দাবি আদায়ের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধসহ ঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আজ শনিবার দুপুরে ২০ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্রমাগতভাবে মানুষের অধিকারগুলো সংকুচিত করেছে। বিশেষভাবে গণতন্ত্রে যে বিরোধী দলের বিশেষ একটি জায়গা আছে সেটিকে তারা কখনই বিশ্বাস করেনি। গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের সব কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে তারা দমননীতি অবলম্বন করেছে। তাদের দমননীতি অমানবিক, মধ্যযুগীয় এবং নাজি ফ্যাসিস্টদের সমতুল্য। শুধু কথা বলা, সভা, সমাবেশের অধিকারগুলোই তারা হরণ করেনি বরং নাজিদের কায়দায় বিরোধী দলের নেতাদের অবরুদ্ধ, কারারুদ্ধ, মিথ্যা মামলাতেই জড়ানো হয়নি, অনেককে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যা করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী মহাজোট সরকার অবৈধ একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আরো বেশি নির্দয় ও নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।দলীয় চেতনায় উজ্জীবিত বেশকিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের দিয়ে বিএনপি এবং জোটের শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।বিজিবি মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয়, এই ধররেনর বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত ও হতবাক করেছে। ঔদ্ধতপূর্ণ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত এই বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিজিবির হাতে মারণাস্ত্র জনগণের টাকায় কেনা। এটি কোনো দল বা ব্যক্তির প্রাইভেট বাহিনী নয়।বিবৃতিতে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলের সব পর্যায়ের আটককৃত নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে এই মুহূর্তে ‘অবৈধ’ সরকারকে পদত্যাগ করে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।