দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্ক লিপার্ট ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে লিপার্টের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় অজ্ঞাত এক সন্ত্রাসী। তবে তিনি আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। হামলাকারী কি-জংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের। খবরে বলা হয়, সকালে রাজধানী সিউলে দুই কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ নিয়ে কর্মরত গ্র“প ‘কোরিয়া কাউন্সিল ফর রিকনসিলিয়েশন অ্যান্ড কোঅপারেশন’ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাষ্ট্রদূত লিপার্ট। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে তার ওপর আক্রমণ চালায় কি-জং। যিনি অনুষ্ঠান আয়োজক গ্র“পের সদস্য বলে জানায় পুলিশ। হামলার সময় তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সখ্যে আপত্তি জানিয়ে চিৎকার করছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার সময় ৪২ বছর বয়সী লিপার্টের মুখের একপাশের জখম থেকে রক্ত ঝরছিল।হামলার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেছেন, ‘লিপার্টের জখম জীবনের জন্য ঝুঁকির মতো নয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা তীব্রভাবে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’ অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিপার্টকে ফোন করে দ্রুত তার সুস্থতা কামনা করেছেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারী কি-জংয়ের বয়স ৫৫ বছরের কাছাকাছি। তিনি একটি ছোট ফল কাটার ছুরি দিয়ে লিপার্টের ওপর হামলা চালান।তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, হামলার সময় কি-জং রেজর ব্লেড ব্যবহার করেছেন।পুলিশ আরও জানায়, এর আগে ২০১০ সালে সিউলে জাপানি রাষ্ট্রদূতের ওপরও ঢিল ছুড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কোরীয় পোশাক পরিহিত কি-জং হামলার আগে চিৎকার করে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার পুনরায় একত্রীকরণের কথাও বলেন। চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার দিকে ইঙ্গিত করে মহড়ারও বিরোধিতা করেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গবেষণা সংস্থা আরিরাং ইন্সটিটিউটের মাইকেল ল্যামব্রাউ বলেন, ‘বাদামি ও তামাটে রঙের কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি চেঁচিয়ে কিছু একটা বলে রাষ্ট্রদূত লিপার্টের কাছে গিয়ে তার মুখে কোপ দেন।’ল্যামব্রাউ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত চেয়ারে বসেই তাকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তার মুখের ডানপাশে সাত ইঞ্চিজুড়ে গভীর ক্ষত হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে যখন আটকানো হচ্ছিল তখন তিনি চেঁচিয়ে কোরিয়ার স্বাধীনতার কথা বলছিলেন। তার কথা শুনে মনে হয়েছে, তিনি আমেরিকাবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী।