থাই-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়ায় ভুলক্রমে দক্ষিণ চীন সাগরে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। সদ্য প্রকাশিত ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ দ্যা মিস্ট্রি নামের একটি বইয়ে এ দাবি করেছেন লেখক নিগেল কাওথ্রোন। বইটিতে নিগেল দাবি করেন, ভূপাতিত হওয়ার পর এই অমার্জনীয় অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে পরিচালিত অনুসন্ধান তৎপরতা ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিগেল তার বইয়ে বলেছেন, বিমানটির ট্রান্সপোন্ডার বা যোগাযোগ যন্ত্র যখন বন্ধ হয়ে যায় ঠিক সে সময়ে ওই এলাকার সাগরের তেলের রিগে কর্মরত এক শ্রমিক একটি জ্বলন্ত বিমানকে সাগরে পড়তে দেখেছেন। সে স্থানে থাই-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়া চলছিল। এ মহড়ায় আমেরিকা ও থাইল্যান্ড ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ অংশ নিয়েছিল।মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি নিখোঁজ হয় মাঝরাতে। পরদিন দক্ষিণ চীন সাগরের পানিতে তেল ভাসতে দেখা গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়। নিগেলের অনুমান সত্যি হলে সে রাতেই থাই-মার্কিন যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী সাগর থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলে। এরপরও যদি তলিয়ে যাওয়া কোনো ধ্বংসাবশেষ বা লাশ ওই সাগরে ভেসে উঠে সেদিক থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে ‘নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা বিমানটি আকাশে উড়েছে’ বলে কল্পকাহিনী ফাঁদা হয়। সে কল্পকাহিনীর সূত্র ধরে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে তল্লাশি অভিযান চলে যায় ভারত মহাসাগরে। আর সেই ফাঁকে দক্ষিণ চীন সাগরের সব আলামত নষ্ট করে দেওয়া হয়।উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের চীনাগামী বিমানটি গত ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে ২৩৯ জন আরোহীসহ উড্ডয়নের প্রায় এক ঘণ্টা পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। তারপর থেকেই বিমানের খোঁজে কয়েকটি দেশ সম্মিলিতভাবে অনুসন্ধান তৎপরতা শুরু করে। তারা একেক সময় বিমানটির অনুসন্ধান ও খোঁজ পাওয়া নিয়ে আপত্তিকর ও বিরূপ মন্তব্য করে। কিন্তু ৭১ দিন পরও এ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। তাই নিগেলের এই সন্দেহ সত্যিও হতে পারে।
সূত্র : আইআরআইবি