তিস্তা ও ছিটমহলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এবার জট খুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বামফ্রন্ট সবাই প্রায় এক সুরে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির সমাধান চাইলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো নেতা-মন্ত্রী এই বিষয়টি কোনো রকম মন্তব্যই করতে রাজি নন। মমতা ছাড়া এই ইস্যুতে কথা বললে যেন মন্ত্রীদের গরদান কাটা পড়বে; এমনই মনোভাব বোঝা গেল কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার ভাষায়, ‘আগের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমহোন সি চমক দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে এই চুক্তি করেছিলেন। ওই চমকের রাজনীতি বিজেপি করবে না। সুষমা দি (সুষমা স্বরাজ) ঢাকা সফর করছেন। আশা করবো দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে এই সব বিষয় গুলোর সমাধন সূত্র বের হবে।’ ঢাকা সফরের আগে সুষমা-মমতার ফোনালাপ নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, দেখুন ফোনের আলাপ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলতে পারে সবার সঙ্গে আলোচনা করে দীর্ঘস্থায়ী একটি সমাধাণের পথ খুঁজে বের করা সম্ভব হবেই।বামফ্রন্টের র্শীষ নেতা মহম্মদ সেলিম কালের কণ্ঠকে তিস্তা চুক্তি সহ বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রশ্নে মুলত পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেই দায়ী করেছেন। তাঁর ভাষায়, দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মমতা ব্যানার্জি এই সম্পর্কটাকে ধরে রাখতে পারেননি। আশা করবো এখন সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকলে ভারতের লাভই বেশি হবে। বাংলাদেশ আমাদের সব চেয়ে কাছের বন্ধু দেশ। সেই দেশের সুখ-দুখ আমাদেরও ভাবতে হবে।কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের র্শীষ নেতা আব্দুল মান্নান জানান, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন হোক। সেটি হলেই আর কোন সমস্যা থাকে না। কিন্তু দুভার্গ্য এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধির রঞ্জন চৌধুরীও কংগ্রেসের নীতি সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে বলেন। তার ভাষায়, কংগ্রেস বরাবরই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার নীতি নিয়ে চলেছে। আগামীতেও চলবে। তিস্তু ও ছিটমহল ইস্যুতে মনমোহন সিং সরকার যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবস্থান। আশা করব সব সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাক।