সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া ফার্নেস তেলবোঝাই ট্যাঙ্কারটি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ট্যাংকারটি উদ্ধার করে মূল শ্যালা নদী থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার অদূরে বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন জয়মনি ঘোল এলাকায় টেনে আনা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ জোবায়দা-৩, জোবায়দা-৪, জ্বলন্ত ও ডিবি রাইজিং-৩ ডুবন্ত ট্যাঙ্কারটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করেন।নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও নির্ভীক। বিআইডব্লিউটিএর এই দুটি উদ্ধারযান আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।এছাড়া ভাসমান তেল নষ্ট করতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়েছে জাহাজ কাণ্ডারি-১০। এ জাহাজটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাসমান তেলের ওপরে একধরনের পাউডার ছিটিয়ে তেল নষ্ট করবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মংলা বন্দর কর্তপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার।সভা শেষে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আমির হোসাইন চৌধুরী জানান, আজকের মধ্যে জাহাজ কাণ্ডারি-১০ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাসমান তেলের ওপরে একধরনের পাউডার ছিটিয়ে তেল নষ্ট করবে।তিনি জানান, ফার্নেস তেল বনের ভেতর বিভিন্ন খালে ভাসমান রয়েছে। ভাসমান এ তেল অপসারণে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় জেলে ও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান। কাপড়ে ছেঁকে বা অন্য কোনো কৃত্রিম উপায়ে স্থানীয়দের নদী ও খাল-বিল থেকে ফার্নেস তেল অপসারণে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় গত মঙ্গলবার ভোরে এমভি টোটাল ট্যাংকারের ধাক্কায় তলা ফেটে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৮ লিটার ফার্নেস তেল নিয়ে ডুবে যায় ট্যাঙ্কার এমভি ওটি সাউদার্ন স্টার সেভেন। এই তেল ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব সুন্দরবনের নদ-নদী-খাল ও বন অভ্যন্তরে।