আইএফএ শিল্ডের শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। উত্তেজনা ভরপুর ম্যাচে ৪-৩ গোলে শেখ জামালকে হারিয়ে ৪৩ বছর পর শিরোপা উদ্ধার করে কলকাতা মহমেডান। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শেখ জামালের নিখুঁত ফুটবল দেখল ভারতবাসী। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে ম্যচ গড়ালেও গোলের দেখা না পেলে টাইব্রেকার হয়। খেলার শুরুতে ১০ মিনিটের মাথায় শেখ জামালের বিদেশি খেলোয়াড় সনি নর্দের নেয়া জেরালো শট ঠেকিয়ে দেন মহমেডানের গোলরক্ষক লুইস ব্যারেতোর হাতে। পাঁচ মিনিট পর মোহামেডান তাদের সুবর্ণ সুযোগ হারায়। মনিষ ব্যর্থ হন গোল করতে। ২৫ মিনিটে রাকেশ জোরালো ট্যাকল করায় ফ্রি কিক পায় জামাল। আর প্রথমার্ধের শেষে ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নর্দে। এর পর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে যোশিমারের পাস থেকে সমতাসূচক গোলটি করে মেহরাজউদ্দিন। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে সোহেল রানা কড়া ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন। স্বাগতিকরা ফ্রি কিক পেলেও মনিষের শটটি ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। নর্দে ৬৫ মিনিটে আবারও দুর্দান্ত শট নিলেও ব্যারেতো বিপদ সামাল দিতে সফল হন। ৮৩ মিনিটে নর্দে ও লুসিয়ানো সাবরোসা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিলে লাল কার্ড দেখেন। শেষ সাত মিনিট দশজন নিয়ে খেলে অমীমাংসিত থাকে লড়াই। অতিরিক্ত সময়ও কোনো দল গোলের দেখা না পেলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। প্রথম শটটি থেকে মোহামেডানের খেমতাং ও জামালের ওয়েডসন গোল করেন। দ্বিতীয় শট থেকে মোহামেডানের মনিষ ও জামালের নাসীরও সফল হন। তৃতীয় শটে নির্মল ছেত্রী মোহামেডানের হয়ে গোল পেলেও মিস করেন জামালের আলী আবিসু। চতুর্থ শটে যোশিমার মিস করলে জামালের নাসীম শট করে সমতায় ফেরান। পাঁচ নম্বর শটটি দুদলই মিস করলে শেষ শটে মেহরাজ মোহামেডানের হয়ে চতুর্থ গোল পান। কিন্তু জামালের দিদারুল মিস করলে শেষ হয় শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। ১৯৯৫ সালে ঢাকা মোহামেডান একইভাবে টাইব্রেকারে হারলে শিরোপা হাতছাড়া হয়। সেবার ১-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ড্র শেষে হার মানে তারা।
উৎস- যুগান্তর