বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা পায় না। জিএসপি সুবিধার জন্য আমাদের যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল ইতিমধ্যে তার সবগুলোই পূরণ হয়েছে। তাই জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আশা করছি, আমরা শিগগিরই জিএসপি সুবিধা পাব।’
গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুরে কচুয়ার মিয়ারবাজারে ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজে ২০১৪ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গোলাম হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বর্তমান সরকারের টার্মেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে পাঁচ বছরে এই দেশের জনগণই এর জন্য সহযোগিতা করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ চালিকাশক্তি। এখন এই বৈষম্যের হার হ্রাস পেয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের হার ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ দেশের বিত্তশালীরা যদি উদার হন তাহলে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য, কৃষক-শ্রমিকদের দক্ষতা-পরিশ্রমে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নের ধারায় গ্রামগুলো এখন শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের রপ্তানি আজকে দাঁড়িয়েছে, ৩০ দশমিক ২ বিলিয়নে। রিজার্ভ ২২ বিলিয়নে। সব দিক থেকেই আমরা পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের তুলনায় এগিয়ে আছি।’
ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘এই সরকারের আমলেই বিনা মূল্যে বই দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে শিক্ষার প্রচার-প্রসার ঘটছে।’
রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সবচাইতে বড় অবদান রেখেছেন। আর এই অবদানকে শেখ হাসিনার সরকার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে; যেখানে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটেছে।’
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গোলাম হোসেন এবং কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। প্রবন্ধ পাঠ করেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসানুল হক চৌধুরী। অতিথিরা কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন।