চিংড়ি খাতে উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা-২০১৪’র অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে দেশে চিংড়ি উত্পাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুনগত মানেরও উন্নতি হবে, যা চিংড়ি খাতের সম্প্রসারণ, চাকরি সুযোগ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণের সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চিংড়ি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখাতে নারীসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ সম্পৃক্ত। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে ৩ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছে।সচিব বলেন, ১৯৯৮ সালে চিংড়ি খাত জাতীয় মৎস্য নীতির অন্তর্ভুক্ত হলেও চিংড়ি সম্পর্কিত নির্দেশনাবলি পর্যাপ্ত হিসেবে পরিগণিত হয়নি। এ জন্য একটি সার্বিক নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন দেখা দেয়।মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীবন বৈচিত্র্যের সুরক্ষা জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, চিংড়ি উত্পাদন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াকরণ, বাজারজাত ও রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি হচ্ছে জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা ২০১৪’র লক্ষ্য। এ নীতিতে এসব সমস্যা ও সম্ভাবনার বিকাশ ও সমাধানের বিষয় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।ভূঁইয়া বলেন, এ নীতি প্রণয়নে চিংড়ি শিল্পের উন্নয়ন, উত্পাদন বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ, জীব বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ, শস্য বহুমুখীকরণ, শস্য আবর্তন এবং ভূমি ও শস্য বিভাজন ও গবেষণাসহ চিংড়ি খাতকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা হয়েছে।বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর মন্ত্রিসভায় চিংড়ি নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। এই নীতির ভিত্তিতে বেসরকারি খাত হবে দেশের চিংড়ি খাতের চালিকাশক্তি এবং এতে সরকার নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বৈঠকে গত ২১ থেকে ২৩ জুলাই লন্ডনে প্রথম ‘গার্ল সামিটে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের বিষয় অবহিত করা হয়।এ ছাড়া গত ২৮ ও ২৯ মে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনের ১৭তম অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান এবং ৯ থেকে ১৩ জুলাই রোমে কফির (কমিটি অব ফিশারিজ) ৩১তম সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর যোগদান বিষয়ে বৈঠকে অবহিত করা হয়।মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।