ঠাকুরগাঁও, বগুড়ায়, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এবং দিনাজপুরে বজ্রপাতে ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও : বজ্রপাতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় দবির আলী ( ৪৫), জুয়েল (২৫), হরিপুর উপজেলায় ফজলুর রহমান (৩৮) ও আনোয়ারা (৫০) নামে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে পৃথকভাবে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। মুষলধারে বৃষ্টিপাত চলাকালে সকাল সাড়ে ১১টায় পীরগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের দবির আলী পুকুরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ১১টার দিকে ভামডা গ্রামে জমিতে চাষাবাদ করার সময় বজ্রপাতে জুয়েল মারা যান। বিকাল ৫টার দিকে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ফজলুর রহমান মাঠে গরু বাঁধতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। সকাল পৌনে ৯টায় ওই উপজেলার ফলোড়া গ্রামে বজ্রপাত হলে বিকট শব্দে হার্টঅ্যাটাকে আনোয়ারা নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই সময় ঘরের ভিতরে বসে ছিলেন। বগুড়া : জেলার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামে বজ্রপাতে রতন মিয়া (৩০) ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আব্দুর রাহিমের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ : কাশিয়ানীতে বজ্রপাতে তাহের মৃধা (৩৫) নামে কৃষক নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার পোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাহের মৃধা বাদশা মৃধার ছেলে। সিরাজগঞ্জ : কামারখন্দে হযরত আলী (১৩) নামে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ধামকৈল গ্রামের আক্তার সরকারের ছেলে। ঘাস কাটার সময় বজ্রপাত হলে তার মৃত্যু হয়। দিনাজপুর : কাহারোল উপজেলার রুকুনপুর গ্রামে রঞ্জিত কুমারের স্ত্রী প্রেমিকা রায় (৩৫) গতকাল সকাল ১০টায় বজ্রপাতে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অমিত্র রায়ের কন্যা মমতা রানী (৮), ভয়াল চন্দ্র রায়ের পুত্র শংকর কুমার রায় (২৫), ইমাম আলীর স্ত্রী কিরি বেগম (৪০)। তারা কাহারোল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলার গোবরায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের বারিক মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪) ও মুরাদ হোসেনের ছেলে জনি (২৫)। রবিবার বিকালে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।