রাজিব মজুমদার : মীরসরাইয়ে জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইন্সট্রাক্টর নুরুল ইসলাম নাহিদের বহিস্কারের দাবীতে আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ব্যানার নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিস্কার চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এতে বক্তব্য প্রদান করেন কিবরিয়া, সাইফ, রিজভী, সাজিদ, মুক্তাদির, মুহাইমিনুল, হাসান, নাজমুলসহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ স্যার আমাদের ছাত্রী বোনদের মানসিকভাবে লাঞ্ছিত, পরীক্ষায় ফেল করানো, ক্লাশে নিয়মিত অনুপস্থিতি, বহিরাগতদের মাধ্যমে ছাত্রদের উপর হামলা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ, বস্ত্র অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা তাঁর বহিস্কার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান, নুরুল ইসলাম নাহিদ স্যার মুঠোফোনে তাঁর ব্যক্তিগত কে ক্লাশ শেষে ফিজিক্যালি মিট হওয়ার জন্য বলেন। না হলে আমাদের পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখান। আমরা সব ব্যাচের মেয়েরা এতে অতিষ্ট হয়ে অধ্য বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এরকম কলঙ্কিত শিক্ষকের বহিস্কার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, শিক্ষক নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এস এম কবির হোসেনসহ ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বস্ত্র অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ ইসমাঈল স্যারের নিকট পেশ করেছি। তিনি এখন দেশের বাইরে থাকায় উনার মৌখিক নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষক নাহিদকে টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজে গত ১৫ মার্চ বদলী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলাম নাহিদের মুঠোফোনে (০১৭১১৫৮১২৬৮) বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।