দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ভারতের শিলং-এ সন্ধান পাওয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি, বরঞ্চ তার চোখ-হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।শিলংয়ের এক হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই তিনি সাংবাদিকদের সামনে এক কথা বলেন।শিলং সিভিল হাসপাতালে বিচারাধীন বন্দীদের বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এই হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোস্বামীর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের আরো বলেছেন, তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে চান।তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে কোলকাতা হয়ে শিলং পৌছেছেন, তবে এখনো মি. আহমদের সাথে তার সাক্ষাৎ হয় নি।মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ ইঙ্গিত দিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সাথে মি. আহমেদের দেখা করতে কোন সমস্যা হবে না।আজই হাসপাতালে মি. আহমদের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার পর ডা. ডি জে গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, মি. আহমেদ সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। তার স্মৃতিভ্রম হয়েছে এমন কোন প্রমাণ পান নি চিকিৎসকরা।শিলংএ মি. সালাহউদ্দিনের সন্ধান মেলার পর তার ‘স্মৃতিভ্রম হয়েছে’ – এমন বেশ কিছু খবর ঢাকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।আজ তার কিছু মেডিক্যাল পরীক্ষার পর ডা. গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে জানান, মি. আহমদ সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন, তার কথায় কোন অসংলগ্নতা দেখা যায় নি এবং তার কোন স্মৃতিবিভ্রাট ঘটেছে এমন কোন প্রমাণও দেখা যায় নি।ডাক্তারী পরীক্ষার পর মি. আহমদ শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এমন প্রত্যয়নপত্র পাওয়া গেলেই তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ১১ ই মে শিলংয়ে মি. আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়।