চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বে গত তিন বছরে বেশ কয়েকবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আর এ কারণেই আজ বুধবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠান শেষে মধ্যাহ্নভোজের সময় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলের নগর সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন। তিনি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মধ্যাহ্নভোজের সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ও মহিউদ্দিন ভাইকে ডেকে এসব কেন হচ্ছে, তা দেখতে বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়টি সরাসরি আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপের বিষয় না হলেও সহযোগী সংগঠন হিসেবে দায়ও এড়ানো যাচ্ছে না বলে স্বীকার করেন নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, এটি সরাসরি আমাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু পরোক্ষভাবে দায়িত্ব আমাদেরও। তাই আমরা আগেও একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। প্রয়োজনে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব।
উল্লেখ্য, গত প্রায় তিন বছর ধরে বিরোধের জের ধরে সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতাকে লাঞ্ছিত করা, নিজেদের মধ্যে গুলি ছোড়াছুড়ি, কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে। সর্বশেষ দুদিন আগেও শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক দুই সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অবরোধও চলে। এই দুই পক্ষই মহিউদ্দিনের অনুসারী বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।