খবরিকা রিপোর্টঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি (উপাচার্য) হিসেবে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। মীরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নরে শেখেরতালুক গ্রামে জন্মগ্রহন করেন তিনি। ইসমাইল খান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রাক্তন ছাত্র। তিনি ১৯৮৪ সালে চমেক থেকে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন।
গত সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের বিষয়টি জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শুনেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান।
নিয়োগ পেয়ে সবার সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করার কথাও বললেন তিনি। প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, আমি চট্টগ্রামের মানুষ। চট্টগ্রামেই আমার বেড়ে ওঠা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতি করেছি। পরে একই কলেজে শিকতাও করেছি। এখন চট্টগ্রামের একমাত্র উচ্চতর চিকিৎসা-শিা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুরু দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করা হয়েছে, সকলকে সাথে নিয়ে আমি এই দায়িত্ব পালন করতে চাই। সবার সহযোগিতায় চট্টগ্রামের একমাত্র এই উচ্চতর চিকিৎসা-শিা প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমার।
জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইলের জন্ম মীরসরাইয়ের মধ্যম মঘাদিয়া ইউনিয়নের শেখের তালুক গ্রামের কাজীর বাড়ির ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম মো. আকরাম খান ও মা মরহুম হোসনে আরা বেগম। ৬ ভাই- ৪ বোনের পরিবারে ইসমাইল খান ভাইদের মাঝে ৪র্থ। আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখার হাতেখড়ি শেষ করে মীরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। চমেক থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রী সমাপ্ত করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রথম কর্মস্থল রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে আড়াই বছর চাকরি করেন। ১৯৮৮ সালে চমেক-এ প্রভাষক হিসেবে শিকতা শুরু করেন। ফার্মাকোলজিতে এমফিল করা এ চিকিৎসক সিডনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে মেডিকেল এডুকেশনে (এমই) পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী নেন। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি মালয়েশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সে তিন বছর শিকতা করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগীয় প্রধানের পাশাপশি উপাধ্যরে দায়িত্ব পালন করেন চার বছর। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের নির্বাচিত ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। রাজনীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ইসমাইল খান। ১৯৮২-৮৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সক্রিয় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেও (স্বাচিপ)।