একটানা ভারিবর্ষণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পানি জমে ডুবে গেছে নগরের রাস্তাঘাট। প্রায় সব রাস্তায় হাঁটুপানি। কিছু কিছু এলাকা কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় বাসা বাড়ির নিচতলা ও দোকানে পানি ঢুকে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরীর হামজার বাগ, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, ষোলশহর, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ডিসি রোড, চান্দগাঁও, দেওয়ানবাজার, ডবলমুরিং, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নগরীর নিুাঞ্চল। এসব এলাকার বিভিন্ন সড়কে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক যানবাহন। তবে বিকাল থেকে পানি কিছুটা নামতে শুরু করেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় এ ধরনের ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে ভারি থেকে অতি ভারিবর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সতর্ক বার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।