প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। তিনি ঢাকায় বাস করলেও চট্টগ্রামকে সব সময় মনে রাখেন। চট্টগ্রামকে তিনি প্রকৃত বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দেখেন।প্রধানমন্ত্রী বুধবার বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় নগরীর দীর্ঘতম আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টায় হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এসে পৌঁছান।তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি সব সময় আন্তরিক ছিলেন। আগামীতেও চট্টগ্রামের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মিত হচ্ছে। আগামীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করাসহ বন্দরনগরীর উন্নয়নে আরো অবকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হবে।মুরাদপুর থেকে নির্মিত হওয়া ফ্লাইওভারটি যাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নেওয়া যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন।এরআগে প্রধানমন্ত্রী নির্মাণ কাজের ফলক উন্মোচন করে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেনে। ৪৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার ২০০ মিটার দৈর্ঘের ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিযুক্ত হয়েছে ম্যাক্স র্যাঙ্কিন জেভি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বুধবার শুরু হয়ে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ ২০১৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।সিডিএ সূত্রে জানা যায়, নগরীর যানজট নিরসন ও এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট ও জিইসি পর্যন্ত ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্ত স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পরামর্শক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান ডিডিসি, এসএসআরএম, ডিপিএম, কেভি’র পরামর্শক্রমে ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে লালখানবাজার পর্যন্ত নেওয়া হয়। ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর ফলে ১৫০ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় বেড়ে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬২ কোটি টাকা।