ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের আগে ও পরে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে কিছু মহাসড়কে দুর্ভোগের জন্য আবারও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আজ রবিবার সচিবালয়ে ঈদে মানুষের যাতায়াত নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, মনিটরিং ও ভালো সমন্বয়ের ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রা তেমন দুর্ভোগের কারণ হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তার জন্য কোথাও দুর্ভোগের খবর পাইনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে আশঙ্কা ছিল, বাস্তবে যানজট হয়নি। তিনি বলেন, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক যানজটমুক্ত ছিল। তবে কোথাও কোথাও যথেষ্ট দুর্ভোগ হয়েছে।একসঙ্গে গার্মেন্টগুলোর ছুটি, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুটি দুর্ঘটনা, গরুবাহী ১০টি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় অসহনীয় যানজট হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমিও রাত ২টার সময় ফোন পেতে শুরু করি। সেক্রেটারি সাহেবও বিষয়টি অবহিত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করে। তারপরও ঘণ্টা তিনেক সময় লেগেছে। সব অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি, আবারও করছি, বলেন মন্ত্রী। আসার সময় কোথাও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়নি দাবি করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শনিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাওড়াকান্দি রুটে লম্বা লাইন পড়ে যায়, যা সত্যি দুর্ভোগের কারণ ছিল।
গত ঈদে দুর্ঘটনায় ৯৬ জন মারা গেলেও এবার সেই সংখ্যা মাত্র ২৬ জন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদের পরেও ২/৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ কোথাও কোথাও বেপরোয়া ড্রাইভিং। ইজিবাইকের ব্যাপারে আন্তমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। নিজের হাতে নিজের মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে না চলার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইজিবাইক মূর্তিমান আতঙ্ক। এই মুহূর্তে কঠোর না হলে আবারও মৃত্যুর কারণ হবে এগুলো। বিআরটিসির কারণেও দুর্ঘটনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কেউই রেহাই পায়নি।