গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেছেন, এই সরকারের মেয়াদকালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাদবাকী প্রায় দুই সহস্রাধিক কর্মচারির কার্যভিত্তিক নিয়োগকে নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নেবে সরকার। একইসঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ৩০ তলা ভবন নির্মানের চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী আজ বিকেলে পূর্ত ভবন চত্বরে কর্মচারি মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৭শ ২৭ জন কার্যভিত্তিক নিয়োগকে সম্প্রতি নিয়মিতকরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে বাংলাদেশ গণপূর্ত অধিদপ্তর শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়ন এই কর্মচারি মহাসমাবেশ এবং পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, এই সরকার শ্রমবান্ধব সরকার। কোন সরকারের আমলেই যা হয়নি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৭শ ২৭ জন কার্যভিত্তিক কর্মচারীর চাকরী নিয়মিত করেছেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। বাদবাকী প্রায় ২১শ’ কার্যভিত্তিক কর্মচারিকেও সরকার তার মেয়াদকালীন সময়ে নিয়মিতকরণের জন্য উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন,’প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই সরকারের মেয়াদে প্রথম দফায় ১৩২ জন এবং সম্প্রতি ১৭শ’ ২৭ জন কার্যভিত্তিক কর্মচারির চাকরীকে নিয়োমিত করণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সকলের পক্ষ থেকে মহান রাকব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ মন্ত্রী বলেন,’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই তিনি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে তাঁর থাকার সময় প্রথমবারের মত এই অধিদপ্তরের ২৪শ’৭৮ জন কার্যভিত্তিক কর্মচারির চাকরী নিয়মিতকরণ করেছিলেন।অধিদপ্তরের ভাউচারভিত্তিক অমিয়মিত কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও চাকরি নিয়মিতকরণ প্রসঙ্গে কর্মচারিদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ’ভাউচার ভিত্তিক কর্মচারিরা আগে যেখানে ৩ বা ৪ মাস পর পর একসঙ্গে বেতন পেতেন সেখানে এখন প্রতিমাসে বেতন দেয়া হচ্ছে। তার অর্থই হচ্ছে তারা আর অনিয়মিত নন, আর বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।’তিনি অধিদপ্তরের প্রকৌশলী,কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের ও আহবান জানান।বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে মন্ত্রী নিজে মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের সাব সেক্ট কমান্ডার হিসেবে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) এ কে খন্দোরের সাম্প্রতিক রচিত বই সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে একে তাঁর বয়সের কারণে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা জনিত কারণে সৃষ্ট ভ্রান্ত রচনা বলে আখ্যায়িত করেন।বাংলাদেশ গণপূর্ত অধিদপ্তর শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়ন সভাপতি মো. হানিফ ভ’ইয়াঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন-গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো.কবির আহমেদ ভূঁঞা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ,জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।