শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

খোকাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

image_141969.sadek khoka
গত বছর হরতালে নির্বাচন কমিশনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার এ মামলায় খোকা, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরবসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ আমলে নেওয়ার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এ দিন খোকসহ ৯ জনের পক্ষে আদালতে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় সংশ্লিষ্ট বিচারক মো. জহুরুল হক আসামিদের পলাতক দেখিয়ে তাদের অনুপস্থিতিতে এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। তবে আলাল, নীরবসহ অন্যান্যরা আদালতে হাজির ছিল।
আসামিদের অন্যতম আইনজীবী তাহেরুল আসলাম তৌহিদ জানান, এ মামলার এজাহারে খোকা, আলাল এবং নীরবের নাম ছিলনা। উস্কানী ও হুকুমদাতা হিসাবে তাদেরকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা  হয়েছে। আলাল এবং নীরব আগের তারিখে জামিন নেন। তারা জামিনে থেকে আদালতে হাজির ছিলেন। অন্যদের পক্ষে জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়। এদের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য নেতা নেই।
চলতি বছরের ৭ এপ্রিল শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মশিউর রহমান খোকাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪/৫/৬ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছরের ২৭ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতালে আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানি ও মদদে বেলা পৌনে ২টায় শেরে বাংলা থানাধীন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বত্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানার উপপরিদর্শক রাজু আহমেদ দশজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে খোকা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।