রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

খুলনায় বন্দুকযুদ্ধে ১৩ বনদস্যু নিহত

11-dosshu-killed_156670
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বনদস্যুর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাসেম বাহিনীর ১৩ জন নিহত হয়েছে। রোববার ভোরে পাইকগাছা উপজেলায় ও দুপুর সোয়া ১টার দিকে হড্ডার কালাবগী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।
খুলনার পুলিশ সুপার হাবিবুবুর রহমানের ভাষ্য, রোববার ভোরে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কারিমুল (৪০) ও হবি (৪২) নামের দুজন বনদস্যু নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে সুন্দরবনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চলাকালে বনদস্যু কাশেম বাহিনীর সদস্যরা ওই ১১ জনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে কাশেম বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময় হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন বনদস্যুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশের ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে রোববার ভোর ৪ টার দিকে জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামে খুলনায় কলেজ শিক্ষককে অপহরণ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই বনদস্যু নিহত হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে আরো ১১ জনকে। ঘটনাস্থল থেকে ৩২ রাউন্ড গুলিসহ ৯টি দেশি বন্দুক ও দস্যুদের একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে পুলিশ।পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলী জানান, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে ঝিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার ঢালীকে (৪৫) রাত ৪ টার দিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে সুন্দরবনে নিয়ে যাচ্ছিলো বনদস্যুরা। এ সময় ওই শিক্ষকের স্বজন ও প্রতিবেশিদের হৈ চৈ শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয় এবং বনদস্যুদের ধাওয়া করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় দুই বনদস্যু।