জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতেই তার বিরুদ্ধে দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলা দু’টির প্রথম সাক্ষী বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ।
আজ সোমবার রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ অস্থায়ী আদালতে খালেদাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে ফের সময়ের আবেদন জানান মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক বাসুদের রায়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সপ্তমবারের মতো পিছিয়ে সোমবার পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। এদিন খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছিলেন, সকলের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, সারাদেশে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদালত বর্জন এবং ২০ দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির হতে পারেনি খালেদা জিয়া। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন জানিয়েছিলাম।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, হারিছ চৌধুরীর সাবেক একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি হচ্ছেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল। মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে হাজিরা দেন।