ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘৯০র সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।‘শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, আসাদুজ্জামান রিপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী- খান সোহেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলা দুটি বাতিল করার জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলাম। কিন্তু উচ্চ আদালত মামলা দুটি খারিজ করে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা দুটি খারিজ করে দিয়ে সরকার বেগম জিয়াকে আটক করতে চাচ্ছেন এবং তাকে সাজা দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু সরকার ভুলে গিয়েছে বেগম জিয়াকে আটকে রেখে আন্দোলন দমন করা যাবে না। বরং আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।উন্নয়ন আগে, পড়ে গণতন্ত্র- সরকারের মন্ত্রীদের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া মির্জা আলমগীর বলেন, এই কথাতেই প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগ জাতীয় বেঈমান। তারা জনগণের সাথে প্রতারণা ও মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় টিকে আছে। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সমগ্র বাংলাদেশকে কারাগাড়ে পরিণত করেছে। আর সমস্ত মানুষকে আসামী করেছে।