বিশেষ প্রতিনিধি- কৃষিপ্রধান অঞ্চল মীরসরাই উপজেলায় আমন মৌসুমের ধান কাটার পর মাড়াই শেষে খড় দিয়ে গাদা তৈরির রেওয়াজ বহু আগের। কয়েক বছর আগেও জমির মালিকেরা এসব খড় মানুষকে বিনা মূল্যে দিয়ে দিতেন। তবে এখন সময় বদলে গেছে। খড়ও হয়েছে মূল্যবান বস্তু। শুষ্ক মৌসুমে মাঠে ঘাস না থাকায় এখন খড়ের চাহিদা ব্যাপক। তাই এখন আর কেউ খড় বিনা মূল্যে দিতে রাজি নন। ফলে ধান কাটা শেষে এখন কৃষকদের মধ্যে খড় বিক্রির ধুম পড়েছে। অনেক চাষী এখন ধানের পাশাপাশি লক্ষ টাকা আয় করছে খড় বিক্রি করে ও।
পূর্ব খৈয়াছরা আমনের মাঠে এবার ধান মাড়িয়ে তা ঘরে তোলার পর কয়েকজন কৃষককে মাঠ থেকেই খড় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের থেকে জানা গেলে অনেক কৃষক এখন খড় বিক্রি করে ও আয় করল লক্ষ টাকা। কৃষক জামান শাহ বলেন আমি আড়াই কানি জমি ধান চাষ করেছিলাম আমার নিজের জন্য অল্প খড় রেখে বাকি খড়গুলো ৫১ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। একই মাঠের কৃষক আরিফ জানায় তিনি ৫ কানি জমি ধান চাষ করেছিল। খড় বিক্রি করেছেন ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। ক্রেতাগন হলেন গরুর খামারের মালিক। বর্ষা বা শুকনো মওসুমে গরুর খাবারের জন্য অনেক সময় কাঁচা ঘাসের সংকট হয় তখন খড় ও কুড়া এবং ভূসিই গরুর খাবারের জন্য নির্ভরশীল ভরসা। তাই খামারীরা যেভাবেই হোক এই মৌসুমেই গরুর খাবার সংগ্রহ করে ষ্টক করে রাখে। মীরসরাই উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই এভাবে খড় বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।