ভারতজুড়ে এখন নির্বাচনী উত্তাপ। লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির বিজ্ঞাপনে স্লোগান- ‘সময় এসেছে পরিবর্তনের, সময় এখন মোদির।’ বিজ্ঞাপনের ধ্বনিই যেন প্রতিধ্বনিত হয়ে আসছে জনমত জরিপগুলোতে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রকাশ পাওয়া প্রায় সব জরিপেরই ফল এক। ক্ষমতায় আসছে বিজেপি আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদি।গুজরাট দাঙ্গার কালি যদিও মোদির আস্তিন থেকে এখনো মুছে যায়নি; তবে ক্রমেই দুর্বল হতে থাকা অর্থনীতি, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিরাপত্তা সংকট, পানি-বিদ্যুতের অব্যবস্থা, সর্বোপরি দুর্নীতিজর্জর ক্ষমতাসীন কংগ্রেস রয়েছে বেসামাল অবস্থায়। নির্বাচন বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, কংগ্রেস ১৫০টি আসন পাবে কি না- তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামীকাল সোমবার। ৫৪৩ আসনে ৯ ধাপে এই ভোটগ্রহণ শেষ হবে ১২ মে। আর ফলাফল ঘোষণা ১৬ মে। নির্বাচনের প্রথম দিন আগামীকাল আসাম ও ত্রিপুরায় ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
স্বাভাবিকভাবেই মূল নির্বাচন ও ফল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে জনমত যাচাই করে ফলাফলের ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা। আর গত ১০ বছরের ইতিহাস পাল্টে এবার সব জরিপেই আভাস মিলছে, হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির বিজয়ের। সর্বশেষ সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিস (সিএসডিএস), বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনডিটিভি এবং সিএনএন-আইবিএন ও লোকনীতি পরিচালিত জরিপে আসন সংখ্যার বিন্যাসে কিছু পরিবর্তন থাকলেও মূল ফল একই।সিএসডিএস তাদের জরিপের ফল প্রকাশ করে গত শুক্রবার। এতে বলা হয়, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা (এনডিএ) পাবে ২৪৬টি আসন। এটি ছিল তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার আগে চালানো জরিপ। এ জরিপে টিডিপির আসন ১৯। এ আসন যোগ হলে এনডিএর আসন দাঁড়ায় ২৬৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন ২৭২ থেকে মাত্র সাতটি কম।জরিপে দেখা যায়, সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পাবে মাত্র ১০৬টি আসন। খুব ব্যতিক্রমী ফল আসেনি বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভির জরিপেও। এতে এনডিএর আসন ২৫৯। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ১২৩টি। এ ছাড়া সিএনএন-আইবিএন ও লোকনীতির জরিপে বলা হয়েছে, এনডিএ পাবে ২৩৪ থেকে ২৪৬টি আসন এবং ইউপিএ ১১১ থেকে ১২৩টি।
‘মোদির ক্ষমা চাওয়া উচিত’ : এনডিটিভি পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের অন্তত ৪০ শতাংশ মনে করেন, ২০০২ সালে গুজরাটের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় ভূমিকার কারণে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওই দাঙ্গায় সহস্রাধিক লোক নিহত হয়। যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি। অভিযোগ রয়েছে, দাঙ্গা দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে তিনি ব্যর্থ হন। তবে পরে কোনো তদন্তেই ওই ঘটনার সঙ্গে মোদির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।কাল ভোট আসাম ও ত্রিপুরায় : কলকাতা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আসাম ও ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণের মধ্যে দিয়ে আগামীকাল থেকে ভারতের ১৬