শবে বরাতের দিন মিরপুর কালশীতে আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিহারীরা। মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর আদাবর সুচনা কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ ও বিহাসীদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকে ৭দফা দাবিসহ এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়।তারা জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কোন সুরাহা না হলে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে। বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের বিষয়ে একমত হয়েছেন। তিনি বিহারীদের সাত দফা দাবি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে বৈঠকে পুলিশ বিহারীদের কোন বিশৃংখলা না করে শন্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর মিরপুরে বিহারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের। মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত মিরপুর ১১ নম্বর সড়কে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ হয়।প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, বিহারি ক্যাম্পের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা ক্যাম্পে আগুন ও গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে মিরপুর ১১ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করে। এসময় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। একপর্যায়ে পরিবহনশ্রমিকেরা একজোট হয়ে বিহারিদের ধাওয়া করেন। এরপর দুই পক্ষে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কেউ আহত হওয়ার তাৎক্ষণিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত শনিবার ভোর রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে বহিরাগত ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসময় ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হলে ইয়াসিন আলীর পরিবারের নারী-শিশুসহ নয়জন সদস্য পুড়ে মারা যান এবং এক মেয়ে দগ্ধ হন। গুলিতে নিহত হন ক্যাম্পের বাসিন্দা কারচুপি-শ্রমিক মো. আজাদ।ওই ঘটনায় পল্লবী থানায় করা ছয়টি মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে তিন হাজার ৭৫৪ জনকে।