মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাননি

kamaruzzaman-1424347465_74200

 

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে ‘প্রাণভিক্ষা চাননি’ বলে বিবিসিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কাঁমাল। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসিকে বলেন, ‘খুব সম্ভব উনি প্রাণভিক্ষা চান নি। কামারুজ্জামানের ইচ্ছা অনুসারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজ কালকের মধ্যেই এসম্পর্কে জানতে পারবেন।’তবে কবে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এর আগে আজ সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট।ম্যাজিস্ট্রেট আসার কারণ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা সেখানে এসেছিলেন। তবে তাদের কী কথা হয়েছে এখনও  জানেন না তিনি।গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে কামারুজ্জামানের সিদ্ধান্ত জানতে তার সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করবেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সে বিষয়ে আজকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তার সঙ্গে কিছু সময়ের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করবেন। কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অন্যথায় রায় দ্রুত কার্যকর করবে সরকার।”কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় গত বুধবার বিকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে তাকে তা পড়ে শোনানো হয়। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।নিয়ম অনুযায়ী একজন ফাঁসির আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। তবে সেজন্য তাকে অপরাধ স্বীকার করতে হয়। আবেদন পেলে রাষ্ট্রপতি তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেন। ওই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়ে গেলে অথবা আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে সরকার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রথম আসামি হিসেবে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রেও এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। তবে সে সময় কাদের মোল্লা প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।