বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রেসিডেন্টেরও

abdnb_120587

 

নাশকতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, যানবাহনে পেট্রলবোমা ছুড়ে ও আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তারা গণতন্ত্র, মানবতা ও সভ্যতার শত্রু। গতকাল বঙ্গভবনে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৫ পালনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের লোক গণতন্ত্র ভালবাসে এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে দলমতের ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক। গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই এখানে। গণতন্ত্র চর্চার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা দেখানোর রীতি চর্চা করতে হবে। প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একটি আধুনিক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী প্রয়োজন। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশ সদস্যদেরকে সক্রিয় থাকতে হবে। তিনি বলেন, অপরাধীদের দমন ও আইনের কাছে সোপর্দ করা এবং অপরাধমূলক কর্মকা-ের যথাযথ তদন্তে তাদের সক্রিয় থাকতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে তাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন নিয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেদিকে আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই জনবান্ধব হিসেবে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে এবং ভবিষ্যতেও তারা তাদের এ ধরনের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই ভূমিকা দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের দায়িত্ব আগামীতে পালন অব্যাহত রাখবে বলেও প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন। প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে ৭৩৯টি ক্যাডারসহ ৩২ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি শিল্প পুলিশ, বিশেষ নিরাপত্তা ও প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, তদন্ত ব্যুরো, পর্যটন পুলিশ ও নৌ-পুলিশের মতো কয়েকটি বিশেষ ইউনিট গঠন করেছে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের আইজি শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।