সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৬১ রানে হারলো বাংলাদেশ। ২৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৮ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এর ফলে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিল লঙ্কানরা। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সাঙ্গাকারার শতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ২৮৯ রান। খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। সাজঘরে ফিরে গেছেন ওপেনার কৌশল পেরেরা (৮)। রুবেল হোসেনের বলে পয়েন্টে শামসুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৮ রান করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল। সোহাগ গাজীর বলে মিডউইকেটে শামসুরের হাতে তালুবন্দী হয়েছেন তিনি। গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ক্যাচ মিসের মহড়া দেখিয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। ক্যাচ মিস না হলে আরও কিছু রান কম হতে পারতো। বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মমিনুল একই দুটি ক্যাচ মিস করেছেন। ক্যাচ মিস করেছেন মাহমুদ্দুলা ও নাসির হোসেন। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন আশান প্রিয়াঞ্জন। সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৬০ রান করেছেন এই ক্রিকেটার। দুরন্ত ছন্দে থাকা কুমার সাঙ্গাকারা দুর্দান্ত খেলেছেন। আরাফাত সানির বলে আউট হওয়ার আগে সেঞ্চুরি (১২৮) করেছেন। এই নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৭তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন বাঁহাতি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। আর রানের খাতা খোলার আগে রুবেলের তৃতীয় শিকার হয়েছেন থিসারা পেরেরা। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাথুসের অপরাজিত ৫৬ রানের কল্যাণে ২৮৯ রান করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে শুরুতেই শামসুর রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চাপে কিছুটা সামাল দেয় মমিনুল ও এনামুল। তবে দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিতে না পারায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় টাইগার বাহিনী। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ৭৯ রান করে মুশফিকুর রহিম একাই লড়াই চালিয়ে যান টাইগারদের পক্ষ নিয়ে। আর তেমন কেউ খেলতে পারেনি।
উৎস- যুগান্তর