কার্যালয়, জনবল পেলেও গত পাঁচ মাসে কাজ পাননি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তি হিসেবে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ নিরাপত্তা পেলেও কাজ নেই তার। তিনি সরকারি কার্যালয়েও যান না। সরকারও তাকে সক্রিয় করতে চায় না বলে জাতীয় পার্টির নেতারা জানান। নির্বাচনে অংশ নেব না_ ঘোষণা দিয়েও গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন থেকে এমপি ‘নির্বাচিত’ হন এরশাদ। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এরশাদকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত নিয়োগ করার সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন এরশাদ। ওই দিন বিবৃতিতে তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করবেন। মধ্যপ্রাচ্যে হারানো বাজার ফিরিয়ে আনতেও কাজ করবেন।এরশাদ নামেই বিশেষ দূত এরপর চার মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো কর্মকাণ্ড নেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদের। গত ফেব্রুয়ারিতে এক ঘণ্টার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জানিয়ে এসেছিলেন, কী কী কাজ তিনি করবেন, তা পরবর্তী সময় জানানো হবে। তবে সরকার এরশাদকে কার্যালয় দিয়েছে জাতীয় সংসদে। পেয়েছেন একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব এবং দু’জন অফিস সহকারী। পাচ্ছেন নিরাপত্তা প্রটোকল। সরকারের কাছ থেকে বাড়ি না নিলেও মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তি হিসেবে গাড়ি, সম্মানী ভাতা সবই পাচ্ছেন এরশাদ।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মে মাসে সৌদি আরব, কুয়েত ও চীন সফরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান এরশাদ। তবে সরকারের তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া আসেনি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সমকালকে বলেন, সহসাই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন এরশাদ। তবে কবে নাগাদ এ সফর হবে, তা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, সফরের যে প্রাথমিক কাজ করা প্রয়োজন, তা চলছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সৌদি বাদশাসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা কে কবে সময় দিতে পারবেন, তা নিশ্চিত করতেই সফরে বিলম্ব হচ্ছে।