চলমান প্রতিটি ট্রেনে বগি সংকট পূরণের ব্যবস্থা করলেও এবারের ঈদুল ফিতরে যাত্রী পরিবহনে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হবে না। এজন্য ঈদ স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে পরিবহন ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে যাত্রীদের দাঁড়ানো টিকিট দেওয়া হবে। এভাবে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ঈদের পাঁচ দিনে এবার যাত্রী পরিবহন করবে প্রায় লক্ষাধিক। এ সংকট পূরণে ৯১টি কোচ সংযোজনের কথা রয়েছে। তবে এটি পূরণ আদৌ সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পূর্বাঞ্চলের জিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বিভিন্ন নাশকতার কারণে চলাচলরত প্রতিটি ট্রেনেই বগি সংকট রয়েছে। এবারের ঈদে এই বগি সংকট পূরণ করতে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন হচ্ছে না। তবে মেইল ও লোকাল ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি ঈদেই প্রতিদিনই নিয়মিত ৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়। এবার দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন করা হবে। কোচের ঘাটতির বিষয়টি চিন্তা না করে অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। গতকাল ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এদিকে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে সেখান থেকে প্রায় ৫০টি কোচ মেরামত শেষে পরিবহন শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব কোচ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ট্রেনে যুক্ত করা হয়েছে। এর পরও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ২১টি আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন রেকে ৩৪টি কোচ সংকট রয়েছে। ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ২২টি কোচ মেরামত করা হবে। অর্থাৎ মেরামত করা কোচ দিয়ে পূর্বাঞ্চলে চলা ট্রেনের স্বাভাবিক ঘাটতিও পূরণ করা সম্ভব নয়। ৯১টি কোচ দেওয়ার কথা থাকলেও পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে বর্তমানে ৬০টির মতো কোচ মেরামত হয়েছে। সব মিলে এবার ঈদে অতিরিক্ত কোনো কোচ সংযোজন এবং ইঞ্জিনও মেরামত হচ্ছে না। মূলত ২০৫টি ইঞ্জিন মেরামতের কথা বলা হলেও বাস্তবে ১৯৮টি চলাচল করছে। ঈদের আগে মৈত্রী এবং পণ্য ও তেলবাহী ট্রেন বন্ধ রাখায় অতিরিক্ত সাতটি ইঞ্জিন পাওয়া যাবে। এ ইঞ্জিনগুলো বিশেষ ট্রেনে যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ ঈদ উপলক্ষে মেরামত করা অতিরিক্ত কোনো ইঞ্জিন বহরে যুক্ত হবে না।