রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

এগিয়ে বাংলাদেশই

49091_s1

টেস্ট ক্রিকেটের সত্যিকারের মজাটা পাচ্ছেন দর্শকরা। খুলনা টেস্টের চার দিন শেষেও স্বস্তিতে নেই দু’দল। আজ পঞ্চম দিনের ৯০ ওভারে জিততে পারে যে কেউ। অথবা ড্রতেও শেষ হতে পারে ম্যাচটি। গতকাল জয়ের প্রত্যয় দেখান দু’দলের খেলোয়াড়রাই। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ধরে রেখেছেন ময়মনসিংহের দুই ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও শুভাগত হোম চৌধুরী।  গতকাল ২০১/৫ সংগ্রহ নিয়ে  চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। দিনের একবারে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলীয় ২০০ রানের  কোটা পার করেন শুভাগত। এতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২৬৬ রানে।  আজ যদি বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত টিকে ৩ শতাধিক রানে এগিয়ে যেতে পারে তবে চাপে থাকবে জিম্বাবুয়ে। সেক্ষেত্রে হয় ড্র না হয় হারতে হবে তাদের। প্রথম টেস্টের জয়ে বাংলাদেশ রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে মাহমুদুল্লাহ ও ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে এটি শুভাগতর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আর মাহমুদুল্লাহ’র এটি দুই টেস্টে তৃতীয়
ফিফটি। তার ১২৯ বলের ইনিংসে চার ছিল ৭টি। আগের দিনের ৩৩১/৫ সংগ্রহ নিয়ে জিম্বাবুয়ে অবশিষ্ট উইকেট হারায় অল্পতেই। দিনের প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট খুইয়ে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ৩৬৮ রানে। সকালে বল হাতে জোড়া সাফল্যে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার পূর্ণ হয় সাকিব আল হাসানের। ৩৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ১৩তম পাঁচ উইকেট। আর সেঞ্চুরির পাশে ৫ উইকেট দ্বিতীয় বার।  জিম্বাবুয়ের লেজের দিকে টেনডাই চাতারা ও নাতসাই ম’শাংওয়েকে ‘০’ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন পেসার রুবেল হোসেনও। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে প্রথম ঘণ্টায় নিজেদের ভিত নাড়িয়ে দেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান উইকেট বিলিয়ে ফিরে যান দলীয় ৭৫ রানে। আর  পর পর দুই বলে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম আউট হলে শঙ্কা ভর করে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। মুশফিকের কপাল মন্দ। প্রথম বলেই ব্যাট-প্যাডে লেগে বল উঠে যায় উপরে। দৌড়ে এসে তা লুফে নেন উইকেটরক্ষক। টেস্টে এ নিয়ে ৬ বার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। আর প্রথম বলেই দ্বিতীয়বার। এতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহটা দাঁড়ায় ১৪৫/৫-এ। তবে ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে দলের হাল ধরেন শুভাগত হোম চৌধুরী। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পেয়েছেন মুমিনুল হকও। তবে মুমিনুল ব্যক্তিগত লম্বা ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেন আরও একবার। ক্যারিয়ারে মুমিনুলের অর্ধশতক ১০টি। এর ৬ বারই মুমিনুলকে আউট হতে দেখা গেল ব্যক্তিগত ৫০ থেকে ৫৯ রানের মধ্যে। ব্যক্তিগত ২৩ রানে উইকেট দেন বাংলাদেশ ওপেনার শামসুর রহমানও। জিম্বাবুয়ের পার্টটাইম বোলার ম্যালকম ওয়ালার ৩৫ রানে নেন চার উইকেট।