আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় দুই হাজার ৪১৫ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। পাশাপাশি আগামীতে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সচিব পর্যায়ের অষ্টম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির উপ-পররাষ্টমন্ত্রী থানচি নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক জানান, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যাচাই বাছাই কাজে একটি কমিটি কাজ করবে। তাবে তারা প্রাথমিকভাবে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা এসেছিল তাদের মধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিয়েছিল মিয়ানমার। তারপর থেকে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। আবার ওই প্রক্রিয়া আবার শুরু করলাম।
শহিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ২শ‘ নাগরিক মিয়ানমারের বন্দি রয়েছে। বাংলাদেশে মিয়ানমারের ১১০ জন বন্দি রয়েছে। তাদের ছোটখাট অবরাধে বন্দি করা হয়েছে। আমরা এসব বন্দিদের বিনিময় করার বিষষে সম্মত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তিনি আসলে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সীমান্ত নির্ধারণসহ অমীমাংসীত বিষয়গুলোর বিষয়ে একাধিক চুক্তি হবে। এছাড়া আগের চুক্তিগুলো নবায়ণ করা হবে।