কয়েক মাস ধরে চলা তিক্ত মতবিরোধের পর, আফগানিস্তানের দুইজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অবশেষে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে জাতীয় সরকার গঠন করতে রাজি হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন মাস পর রাজধানী কাবুলে রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই দু’জন প্রার্থী – আশরাফ ঘানি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর মধ্যে এই সমঝোতা হয়েছে।
সমঝোতা অনুসারে মি. ঘানি হবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আর মি. আবদুল্লাহ, একজন প্রধান নির্বাহী বা প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবেন।
আফগানিস্তানের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিকের মধ্যে এই সমঝোতা হয় মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চাপে, এতে সরাসরি মধ্যস্থতা করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি।
নির্বাচনী ফল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠার পর ৮০ লক্ষ ভোট পুর্নগণনা করা হয়, এবং এতে দেখা যায় আশরাফ ঘানি তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর তুলনায় মাত্র ৩% ভোট বেশি পেয়েছেন। অথচ আগের ফলে দেখানো হচ্ছিল তিনি ১৩% ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।
একজন টেকনোক্র্যাট হিসেবে আশরাফ ঘানির যে আন্তর্জাতিক সুনাম ছিল এই ঘটনায় তা ক্ষুন্ন হলো, কারণ বেশিরভাগ কারচুপির ঘটনা ঘটেছে তার পক্ষে।
এর পরিণামে এখন যে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করতে হচ্ছে, তাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির কর্তৃত্ব অনেকটাই খর্ব হবে।
প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হবে, তাকে মনোনীত করবেন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। এই প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিপরিষদ সরকারের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম চালাবেন।
অন্যদিকে সব কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট। আফগানিস্তানের এই জাতীয় ঐক্যের সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিদায়ী আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারযাই বলেছেন, আফগানিস্তানের উন্নতি এবং প্রগতির জন্য এটা দরকার ছিল।