এমন একজন খেলোয়াড় তিনি যার ধারাবাহিকতা দারুণ। আর এই ধারাবাহিকতাই আজহার আলীর সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তির প্রয়োগ তিনি দেখালেন ঢাকা টেস্টে। ক্লান্তিহীন ব্যাটিংয়ে কি কাণ্ডটাই না করে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার সামনে ক্লান্ত হয় বাংলাদেশ দল, ক্লান্তি বা শ্রান্তি আসে না আজহারের। তিনি ব্যাট করে চলেন। এবং এরই পুরস্কার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি তুলে নেন আজহার। ঢাকা টেস্টের আয়ু যতক্ষণ প্রায় ততক্ষণই ব্যাট করছেন আজহার। তার অসীম ধৈর্যে ডাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসের রানের পাহাড়ই গড়তে শুরু করেছে পাকিস্তান। শেষ খবর, ৪ উইকেটে ৪৯৬ রান পাকিস্তানের। আজহার ২০৫ এবং আসাদ শফিক ৯২ রানে ব্যাট করছেন।দিনের প্রথম সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই নেচে ওঠে মিরপুর স্টেডিয়াম। পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক তখন ৯ রানে দাঁড়িয়ে। তাকে পরিস্কার বোল্ড করে এই টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। আজহারের সাথে মিসবাহর জুটিটা না জমলেও জমেছে আসাদ শফিকের সাথে। দুজনে মিলে চমৎকার জুটি গড়ে তুলেছেন। সংযত ব্যাটিংয়ের ফাঁকে সুযোগ মতো শট খেলেছেন দুজন। প্রথম সেশনে মিসবাহের উইকেট শিকার করলেও আর কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৪২৮ রান নিয়ে যায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আসে ১০৫ রান। এরপর আজহারের সাথে ব্যাট করতে করতে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে দাঁড়ান আসাদ শফিক। তার সেঞ্চুরির আগেই অবশ্য নিজের ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন আজহার। সাকিবকে ছক্কা মেরেই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সেজদায় নত হন আজহার।