বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জনগন সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে। গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে। কখনও সৈরাচার, একনায়কতন্ত্রকে মেনে নেয়নি। মেনে নেয়নি বলেই বার বার আন্দোলন হয়েছে সংগ্রাম হয়েছে। সেই আন্দোলন থেকেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। গণতন্ত্রের ব্যবস্থার বিজয় হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনাতায়নে সদর উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যান্ত দূভার্গের কথা আ’লীগের হাতে আবার দিত্বীয় বারের মতো গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। তাই বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ডাকে আগামী দিনে আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করে বিজয় অর্জন করতে হবে।আইনের শাসনের পরিবর্তে এক ব্যক্তির শাসন দিয়ে জনগণকে নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আইনের শাসন নিজস্ব গতিতে চলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গুম-খুনের বিরুদ্ধে এবং মৌলিক অধিকার রক্ষায় যারা কথা বলছেন, সরকার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে নির্যাতন করছে।
সংবিধান রক্ষার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের রাজনীতি নষ্ট করেছে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি বাতিল করে রাজনীতিতে এবং দেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি। তাই এই সরকারকে সাংবিধানিক সরকার বলা যাবে না, তারা অবৈধ। নৈতিকভাবে তাদের সংসদে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই।
সরকার পরিবর্তন হলে ক্ষমতাসীনদের বিচার হবে, মন্তব্য করে এ বিএনপি নেতা বলেন, জোর করে শাসন করা যায়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এখন আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। একদিন তাদেরও বিচার হবে। কেউ রক্ষা পাবে না।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ আলম লাবু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখছেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ।
উৎস- যুগান্তর