বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আকস্মিক বন্যায় ১০ জেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি

37015_f2

পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা, সুরমা, ডালিয়া, কংশ, মুহুরী ও নাফ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজ ও এর আশপাশের এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। গতকাল সকালে সেখানে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নেয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ভারি বর্ষণ ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার ৮০টি গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। বর্ষার বিদায় বেলায় হঠাৎ এই টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ১০টি গ্রাম, ফেনীর ফুলগাজী পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার কমপক্ষে ১২টি গ্রাম, নীলফামারীর ৯৫টি গ্রাম, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই সব গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে মওসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও ১-২ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া দেশের নদীবন্দর সমূহকে তিন নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা তথ্যকেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডালিয়ায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে সুরমা বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জে সুরমা বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার এবং জারিয়া জাঞ্জাইলে কংশের পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং মেঘনা নদীসহ ঢাকা শহর সংলগ্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮৩টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৬৩টি জায়গায় পানি বেড়েছে ও ১৭টি জায়গায় পানি কমেছে। দু’টি জায়গায় পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। চারটি জায়গায় পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বর্ষণ ও পাহাড় থেকে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে কয়েক দিন ধরেই দ্রুত গতিতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা ও ধরলা নদীতে। বিশাল এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় এসব গ্রামের কমপক্ষে এক লাখ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেছেন, শনিবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ ও এর আশপাশের এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। ভারি বর্ষণ ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ৫ উপজেলার ৮০টি গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। পাটগ্রাম, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় এক লাখের বেশি মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, তিস্তা ও ধরলা উভয় নদীতেই পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। হাতিবান্ধা উপজেলার দোয়ানি গ্রামে তিস্তা ব্যারেজে পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল ভোর থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার নুনখাওয়া ঘাটে ধরলা নদী প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, গতকাল সকাল থেকে তিস্তা ব্যারেজের ৫২টি গেট খোলা রাখা হয়েছে। আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেছেন, অনেক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও কমপক্ষে ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে ১০টি গ্রামে। তবে নীলফামারিতে তিস্তার পানিতে ভাটার টান ধরেছে। বৃহস্পতিবার এ নদীতে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তা নেমে আসে ২০ সেন্টিমিটারে। দিনাজপুর পিডিবির সূত্রগুলো বলেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে খোলা রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইস গেটের সবগুলো। ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রমজান আলী বলেন, তিস্তার পানি পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর ও ছোটখাতা সহ বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত করেছে। লোকজন হাঁটু থেকে বুক সমান পানি ভেঙে চলাফেরা করছেন। ডিমলা উপজেলার খাগাখাড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিফান বলেছেন, ফুলেফেঁপে ওঠা তিস্তার পানিতে প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে তার ইউনিয়নের ৩০০ পরিবার। এছাড়া ডিমলা উপজেলা, দাউবাড়ি-শোলমারি, পূর্ব ছাতনাই, তেপাখাড়িবাড়ি, খাগাখাড়িবাড়ি-গোয়াবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছি চাপানি সহ ১৫টি গ্রামের ৭০০ পরিবার, জলঢাকা উপজেলার দাউয়াবাড়ি-শোলমারি, কোইমারি ইউনিয়ন পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টেপাখাড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন বলেন, পানিবন্দি হয়ে আছেন তার ইউনিয়নের চাকরখাড়িবাড়ি, উত্তর-খাড়িবাড়ি ও পূর্ব-খাড়িবাড়ি গ্রামের কয়েক শ’ মানুষ।
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ধোবাউড়া উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২০০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের ঘাগডিয়ার পাড়, ছনাটিয়া, রঘুরামপুর, হরিপুর, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি এবং গামারীতলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে কংশ নদী প্লাবিত হওয়ায় এই বন্যা দেখা দেয়। এতে ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি পুকুর ডুবে যায়।
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ করে উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের লোকজন। দেখা দিয়েছে নিরাপদ পানি ও খাবারের সঙ্কট। এছাড়াও মার্জিনাল ডাইক ভেঙ্গে গেছে, বিচ হুমকির মুখে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নৌকায় করে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছে। কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুর ইসলাম জানান, হঠাৎ করে উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলের কারণে আমার ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি: বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝালকাঠির কাঠালিয়া, রাজাপুর ও নলছিটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্নাঞ্চলের কাঁচা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ক্ষেতের শাক-সবজি, গবাদি পশুর খাবার, পুকুর ও জলাশয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভাটির সময় পানি তেমন একটা না কমায় এসব নিম্নাঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: পাহাড়ি ঢলে ও তীব্র ভাঙনে সোনাহাট রেলওয়ে সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সকাল ১১টা থেকে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা সেতুর দুই পাশে টায়ার জ্বালিয়ে, বাঁশ ও ড্রাম ফেলে অবরোধ করে রাখে। এতে সেতুর দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেএম এরশাদ আহসান হাবিব ও থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে দুপুর দুইটায় অবরোধ তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
ফেনী প্রতিনিধি: ফুলগাজী উপজেলার ১২ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মুহুরী নদীর উত্তর শ্রীপুর, কহুয়া নদীর উত্তর দৌলতপুর ও বৈরাগপুর অংশে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ সড়ক ও ছোট ছোট কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। পানিবন্দি হয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার ২৩টি হাওর ও নদ-নদীতে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সীমান্তের ছোট-বড় ২০ ছড়া দিয়ে প্রবল বেগে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পাহাড় ধসের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে চানপুর, টেকেরঘাট, লাকমা, লালঘাট, চাঁরাগাঁও, বাগলী সীমান্তে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার। জেলা শহরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মৎস্য চাষের পুকুর ও অনেক ফসলি জমি। নদীর তীর সংলগ্ন বীজতলা, আবাদি জমিগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে: রূপগঞ্জের দু’টি বেড়িবাঁধ এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। জলাবদ্ধতার কারণে ১০টি উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। রূপগঞ্জের দুটি বেড়ি বাঁধের পানি নিষ্কাশন খাল ভরাট হয়ে যাওয়া এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী (এনএনডি) সেচ প্রকল্পের বেড়ি বাঁধের দু’টি পানি নিষ্কাশনের পাম্প দিয়ে গত চার দিনে কোন পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ক্ষোভে ফাটছে এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন দু’টি প্রকল্পের ভিতর খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পাম্পগুলো ঠিকমতো নিষ্কাশন করতে পারছে না।
স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া (কক্সবাজার): নাফ নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফাইশ্যাখালী ৩শ’ মিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্রায় ১২শ’ একর চিংড়ি চাষ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কোটি টাকার গলদা চিংড়ি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সাগরে ভেসে গেছে। গতকাল উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষাবাদ অধ্যুষিত এলাকা আনজুমান পাড়া ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ চিংড়িঘের পানির সঙ্গে একাকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা জানান, এখানে প্রায় ৭৫০ একর জমি রয়েছে। হাজারো পরিবার চিংড়ি চাষাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চিংড়ি চাষিদের অভিযোগ, নাফ নদী ও তৎসংলগ্ন ফাইশ্যাখালীর ৩শ’ মিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধটি স্থানীয় চাষিরা নিজ উদ্যোগে প্রতি মওসুমে সংস্কার করলেও পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে বারবার বাঁধ ভেঙ্গে চিংড়ি চাষিদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বারস্থ হলেও কোন কাজ হচ্ছে না।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর জমির রোপা আমন চারাসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। টিলাগাঁও রাবার ড্যাম পড়েছে হুমকির মুখে।
খাসিয়ামারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রচণ্ড বেগে রাবার ড্যামের নিকটবর্তী-বক্তারপুর সড়কের দুই স্থানে অন্তত দেড় শ’ ফুট করে দুই জায়গা ভেঙে বহু গ্রাম তলিয়ে গেছে। রাবার ড্যামের নাইটগার্ড টুকু মিয়া, পশ্চিম টিলাগাঁও গ্রামের জ্ঞান বাবু, জয় রাম, করম আলী, মরম আলী, চিনু মিয়া, সফর আলীসহ অন্তত ২০টি পরিবারের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আলীপুর সড়কের বালিজুড়ী স্কুলের নিকটবর্তী দেড় ফুট বেড়িবাঁধ ও টিলাগাঁও-টেংরাটিলা বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে পশ্চিম টিলাগাঁও, আলীপুর, গিরিশনগর, পূর্ব টিলাগাঁও, কাওয়াঘর, শিমুলতলা, মহব্বতপুর, রাজনগর, কইয়াজুড়ি, কোনাবাড়ী, বৈঠাখাই, নূরপুর, সোনাপুর, শরীফপুর, ভুজনা, কালিকাপুর, কদমতলীর বেশ কয়েকটি গ্রাম। একই ইউনিয়নের চিলাই নদীর শাখা নদী ডুমুরিয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বরকতনগর, মারপশি, খাগুড়া সহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। একই নদীর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির নিকট অন্তত ২শ’ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ৫-৬টি গ্রাম। বোগলাবাজার ইউনিয়নের চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে ওই ইউনিয়নের ২০-২৫টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। গুরুতর ক্ষতি হয়েছে সদ্য রোপা আমনের।

উৎস- মানবজমিন