আইনস্টাইনের তত্ত্ব: সেই গবেষক দলের একজন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র দীপঙ্কর তালুকদার (৩৯)।
সাফল্যের অংশীদার বাংলাদেশও,একজন বাংলাদেশিও আছেন এই বিজ্ঞানী দলে।
দুই ব্ল্যাকহোলের (কৃষ্ণগহ্বর) মিলনের ফলে সৃষ্ট মহাকর্ষ তরঙ্গ ধরা পড়েছে বিজ্ঞানীদের যন্ত্রে, ১০০ বছর আগে যার কথা বলেছিলেন আইনস্টাইন। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে সেই ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সারা দুনিয়া কেঁপে উঠেছে সেই খবরের তরঙ্গের আঘাতে।
সেই গবেষক দলের একজন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র দীপঙ্কর তালুকদার (৩৯)।
দীপঙ্করের জন্ম ১৯৭৭ সালে, বরগুনায়। বাবা পরেশ তালুকদার একসময় ছিলেন বরগুনা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। দীপঙ্করের মনে পড়ে, ছোটবেলায় তাঁদের সংসার ছিল টানাটানির, তিন বেলা ভাত জোটানোই ছিল মুশকিল,লেখাপড়া তো ছিল দূরের কথা। বাবা সবকিছু বিলিয়ে দিতেন আর ১৯৭১ সালে সহায়-সম্পত্তির বেশির ভাগই হাতছাড়া হয়ে যায়। দীপঙ্করের বড় ভাই শংকর তালুকদার রাস্তার ধারে বসে চাল বিক্রি করে সংসার চালাতেন। বরগুনা আদর্শ স্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরগুনা জিলা স্কুলের দিনগুলোতে সংসারের এই অনটন দীপঙ্করকে থামাতে পারেনি। পরে অবশ্য তাঁদের সংসারে শ্রী ফিরেছে।
বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষে (২০০২) মাস্টারমাইন্ড আর অক্সফোর্ড স্কুলে পড়িয়েছেন কিছুদিন। তারপর সরাসরি যুক্তরাজ্য থেকে পেলেন কমনওয়েলথ বৃত্তি, অ্যাডভান্সড ম্যাথমেটিকস পড়েছেন কেমব্রিজে (২০০৩)। এরপর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক এল, তিনি উদ্বুদ্ধ হলেন ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির ডাকে।
শুভ কামনা বিজ্ঞানী দীপঙ্কর তালুকদার, আপনি বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।